ধুলোঝড়ের তাণ্ডব দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
কয়েক মিনিটের ধুলোঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কোথাও উপড়ে গিয়েছে গাছ, কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি। কোথাও আবার রাস্তার উপরে বিশাল বড় হোর্ডিং ভেঙে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ২৩ জন।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ ঝড় ওঠে দিল্লি এবং এনসিআরের কিছু অঞ্চলে। সেই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার। কয়েক মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু এলাকা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ হয়েছিল ঘণ্টায় ৭৭ কিলোমিটার। শনিবার রাতেও একই রকম ঝড়ের সতর্কতা দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে বৃষ্টিও হতে পারে। আবহবিজ্ঞানী কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, “পশ্চিমি ঝঞ্ঝা, পূবালি বাতাস এবং অত্যধিক তাপমাত্রার জের ঝড়কে শক্তিশালী করে তুলেছিল।”
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই ঘটনাতেই আহত হয়েছেন ১৭ জন। এ ছাড়া রাস্তাতেও কয়েক জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দ্বারকাতে হোর্ডিং ভেঙে দু’টি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুল্যান্সের উপর পড়ে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গোটা দিল্লি-সহ ঝড় হয়েছে এনসিআরের লোনি দেহাত, হিন্ডন এএফ স্টেশন, গাজ়িয়াবাদ, ইন্দিরাপুরম, ছাপরাউলা, নয়ডা, দাদরি, গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদেও।
ঝড়ের কারণে শুক্রবার রাতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ৯টি বিমান জয়পুরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাতে বহু জায়গা থেকে গাছ ওপড়ানো এবং বাড়ি ভেঙে পড়ার ফোন পেয়েছে তারা। গাছ উপড়ে যাওয়ার বিষয়ে ১৫২টি ফোন এসেছে। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে ফোন এসেছে ৫৫টি এবং ২০২টি ফোন এসেছে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy