প্রতীকী ছবি।
মেয়ের মোবাইল ফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন ৫৮ বছরের এক ব্যক্তি। বারবার চাওয়া সত্ত্বেও তা ফেরত দিতে রাজি হননি। এ জন্য বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে মেয়ে। মায়ের সাহায্যে বাবার দেহও লুকিয়েছিল সে। কিন্তু এক প্রতিবেশী গোটা ঘটনা দেখে খবর দিয়েছিলেন পুলিশে। তার পরই গ্রেফতার হয়েছে মা-মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে। সম্প্রতি ওই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
মোবাইলের জন্য বাবাকে খুনে অভিযুক্তের নাম দিব্যা সরস্বতী। তার বয়স ২৮ বছর। পুলিশ জানিয়েছে,খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জানুয়ারি। ২৩ জানুয়ারি দিব্যাকে তার বাপের বাড়িতে দিয়ে যান তার স্বামী। পরের দিন মোবাইল ফোন খুজে পাচ্ছিল না দিব্যা। তখন সে বাবা মঙ্গলুরাম ধানুয়ারকে মোবাইলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। প্রথমে জানেন না বললেও, পরে মোবাইল লুকিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন মঙ্গলু। তিনি মেয়েকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করায় মোবাইল লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। মেয়ে বারবার বললেও তা ফেরত দিতে রাজি ছিলেন না মঙ্গলু।
তখনই লাঠি দিয়ে বাবা মঙ্গলুকে মারতে শুরু করে দিব্যা। পাথর দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে সে। মেয়ের মারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এর পর মায়ের সহায়তা দেহ বাড়ির পিছনে পুঁতে দেয় দিব্যা। তার পর সেখান থেকে পালায় তাঁরা। কিন্তু এই ঘটনা দেখে ফেলেছিলেন এক প্রতিবেশী। তিনি গোটা ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। এর পর অভিযুক্ত মা-মেয়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলগানা থানার ইন চার্জ দীনেশ চন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy