পাঁচ বছর আগে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তার আগে ৮ বছর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থেকে গড়েছিলেন নজির। কর্নাটক কংগ্রেসের সেই প্রবীণ দলিত নেতা জি পরমেশ্বর এ বার খোলাখুলি দলীয় হাইকমান্ডের ক্ষমতা বণ্টন পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তাঁর অভিযোগ, এ বারের বিধানসভা ভোটে দলিতেরা বিপুল ভাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। তার পরেও সরকারের প্রথম দুই পদে তাঁদের কোনও নেতা ঠাঁই না পাওয়ায় দলিতদের আশাভঙ্গ হবে।
বিদেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত, ইংরেজিতে পারদর্শী পরমেশ্বর ১৯৯৩ সালে প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে। মল্লিকার্জুন খড়্গে, বি বাসবলিঙ্গাপ্পা, কে এইচ রঙ্গনাথের মতো প্রভাবশালী দলিত কন্নড় নেতারা কখনও সে রাজ্যে মন্ত্রিপদের বাইরে এগোতে পারেননি। ২০১৮-র ২৩ মে সেই নজির ভেঙে কর্নাটকের প্রথম দলিত উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিল পরমেশ্বর। জেডিএস মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ‘ডেপুটি’ হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
শনিবার অনগ্রসর কুরুবা জনগোষ্ঠীর নেতা সিদ্দরামাইয়া দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন ভোগ্গালিগা জাতির নেতা ডিকে শিবকুমার। এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ দলিত নেতার ‘ক্ষোভ’ কংগ্রসকে কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলল বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও দলিত।
আরও পড়ুন:
মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরে কর্নাটকে লিঙ্গায়েত নেতাদের একাংশও ক্ষুব্ধ বলে কংগ্রেসের অন্দরের খবর। ‘বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত কর্নাটকের সবচেয়ে প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী লিঙ্গায়েতরা এ বার ভোটে বিপুল ভাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। খড়্গের দল এ বার ৪৬ জন লিঙ্গায়েত নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ৩৭ জন জিতে এসেছেন। ২০১৮-য় জিতেছিলেন মাত্র ১৩ জন। এই পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া বীরশৈব মহাসভা’র তরফে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে এক জন লিঙ্গায়েত নেতাকে বসানোর দাবি তোলা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের দুই সর্বোচ্চ পদের কোনওটিতেই প্রতিনিধি না থাকায় লিঙ্গায়েত ভোট আবার বিজেপিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ভোটপণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।