দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৪.৯৬ শতাংশ। ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র গত তিন দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা সামান্য কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য ১৯,৪০৬। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২০,৫৫১। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় কর্নাটককে ছাপিয়ে এ বার শীর্ষে রাজধানী। গত ছ’মাসে দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,৪১৯। কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দু’হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২,০৪২ ও ২,০২৪। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, এর পরে রয়েছে কেরল (১,৩০৩), তামিলনাড়ু (১,১৪১) ও হরিয়ানা (১,০৫৫)। লক্ষদ্বীপে আপাতত কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলেই ১২ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন, গুজরাত ও ছত্তীসগঢ়ে তিন জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কর্নাটক, দিল্লি, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরাতে দু’জন এবং মেঘালয়, সিকিম, নাগাল্যান্ড, উত্তরাখন্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭০। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ২১২। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৫ কোটি ৯২ লক্ষ ২০ হাজার ৭৯৪ টিকাকরণ হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৪.৯৬ শতাংশ। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৫.১৪ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,৯২৮ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৫২ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy