দেশ জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ৯,৬৫১ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। —ফাইল চিত্র
টানা সাত দিন ধরে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী হয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের নীচেই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৭,২১৯। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৬,১৬৮। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরল ও মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরল ও মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১,২৮৩ ও ১,২৫৮। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,১০৫), তামিলনাড়ু (৪৮২) ও দিল্লি (২৯৯)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়ে হল ১.৯৮ শতাংশ। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৪ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কেরলে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ছয় জন, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গে দু’জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া ওড়িশা, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তীশগঢ়, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও সিকিমে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২১। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৩৬ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ৯,৬৫১ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৬ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy