গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.১৫ শতাংশ। —ফাইল চিত্র
টানা চার দিন ধরে দেশে কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের গণ্ডির উপরে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটা কমে দশ হাজারের নীচে নেমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৫৩১। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ১১,৫৩৯। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে এখনও রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৩২। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কেরল (১,০৮৯), দিল্লি (৯৪২) ও কর্নাটক (৭২০)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেরলে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ১০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানে চার জন এবং মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুরে দু’জন মারা গিয়েছেন। ছত্তীসগঢ়, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশায় এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৪৩। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৩১ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.১৫ শতাংশ। রবিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৭৫ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১১,৭২৬ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৪৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২১০ কোটি ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৬১ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy