‘মানি হাইস্ট’ ছবিটি সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। কী ভাবে স্পেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে কয়েকশো কোটি টাকার সোনা চুরি হয়েছিল, তার পর সেই সোনা গলিয়ে সুড়ঙ্গ দিয়ে পাচার করা হয়েছিল, তা নিয়েই ছিল সিনেমা। এ তো নয় গেল রিল লাইফের ‘মানি হাইস্ট’। কিন্তু বাস্তবের ‘মানি হাইস্ট’-এর মতো ঘটনা চমকে দিয়েছে পুলিশকে। তবে এ ক্ষেত্রে বিদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক নয়, চুরি হয়েছে দেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে।
অনেকটা একই কায়দায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাঙ্কের ভল্ট কেটে সোনা পাচার করেছেন ডাকাতরা। যা দেখে স্তম্ভিত পুলিশের দুঁদে অফিসাররাও। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের পিছন দিক থেকে একেবার ভল্ট বরাবর ১০ ফুটের একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিলেন ডাকাতরা। সুড়ঙ্গটি ৪ ফুট চওড়া ছিল। ব্যাঙ্কের পিছনের দিকে একটি ফাঁকা জায়গা ছিল। সেখান থেকেই সুড়ঙ্গটি এমন ভাবে খোঁড়া হয়েছিল যে সাধারণ মানুষের চোখে চট করে ধরা পড়বে না।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ডাকাতরা প্রথমে অ্যালার্ম ব্যবস্থাকে অকেজো করে দিয়েছিলেন। স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার পর ভল্ট কেটে প্রায় ২ কেজি সোনা নিয়ে চম্পট দেয়। লুট হওয়া সোনার বর্তমান বাজারদর এক কোটি টাকারও বেশি। তবে টাকার ভল্ট ভাঙতে পারেননি ডাকাররা। ওই ভল্টে ৩২ লক্ষ টাকা ছিল। এই ডাকাতি প্রসঙ্গে এক তদন্তকারী আধিকারিক বিজয় ধুল বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে ব্যাঙ্কের ভিতরেরই কেউ জড়িত রয়েছেন বলে আমাদের সন্দেহ। আমার বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছি। স্ট্রংরুম থেকে আঙুলের ছাপও সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারব।”
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সোনা লুটের আগে ভাল ভাবে রেইকি করেছিলেন ডাকাতরা। শুধু তাই নয়, এই ব্যাঙ্কের কোথায় কী রয়েছে, এমন কারও সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারেন ডাকাতদের। তিনিই হয়তো ডাকাতদের এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীরজ রাই জানিয়েছেন, যে সোনা লুট হয়েছে তা ২৯ জন গ্রাহকের। তাঁরা সোনা বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy