সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস গুজরাতের উপকূলে। ছবি: পিটিআই
গুজরাতকে স্বস্তি দিয়ে বদলাচ্ছে বায়ুর অভিমুখ। গুজরাতের উপকূল থেকে ক্রমশ তা সরে যাচ্ছে সমুদ্রের দিকে, এমনটাই জানাল দিল্লির হাওয়া অফিস। ফলে ক্রমেই কমছে সরাসরি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা।
বায়ুকে বলা হয়েছিল ক্যাটেগরি ২ ঘূর্ণিঝড়, কিন্তু তা শক্তিক্ষয় করে ক্যাটেগরি ১ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে মারাত্মক ঝোড়ো হাওয়া বইবে, সমুদ্রের অবস্থাও প্রতিকূল থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। যদিও অভিমুখ সমুদ্রের দিকে সরলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
১৩৫ কিমি থেকে ১৪৫ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার জেরে এ দিন মুম্বইয়ে হোর্ডিং ভেঙে মৃত্যু হল ৬৩ বছরের এক ব্যক্তির।
উপকূল থেকে ক্রমশ তা সরে যাচ্ছে সমুদ্রের দিকে
ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে গুজরাতের উপকূল এলাকায়। কচ্ছ থেকে শুরু করে দক্ষিণ গুজরাতের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা পড়ছে সেই উপকূলে। সেখানে আগাম সর্তকতা হিসেবে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে গুজরাতে। প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধুলো ঝড়ে দিল্লিতে ব্যাহত বিমানের ওঠা-নামা
বৃহস্পতিবার দুপুরেই দ্বারকার কাছাকাছি বায়ুর আছড়ে পড়ার কথা ছিল। বুধবার মাঝরাত থেকেই পোরবন্দর, দিউ, ভাবনগর, কেশড, কান্দলায় বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ৭০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে, ২৮টি ট্রেনের সময়ের বদল ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে
গুজরাত মেরিটাইম বোর্ডের ১৬০০ কর্মীকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে খাম্বাটের কাজ।
VSCS VAYU over EC Arabian Sea moved NNW-wards in last six hours. It is 130 km SW of Veraval and 180 km S. Porbandar. It is likely to move NNW-wards for some time and then NW-wards skirting Saurashtra coast with wind speed 135-145 kmph from afternoon 13.06.2019. pic.twitter.com/77s2HJBkhm
— India Meteorological Department (@Indiametdept) June 13, 2019
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কেরল ও কর্নাটক উপকূল এবং লক্ষদ্বীপের মৎস্যজীবীদের। বুধ ও বৃহস্পতিবার সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে গুজরাত উপকূলের মৎস্যজীবীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানান, ‘বায়ু’ আছড়ে পড়ার পর কী কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ইতিমধ্যেই সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।
সতর্কতা জারি রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়।
রাস্তা থেকে শুরু করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা রয়েছে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার। বুধবার সকালে বিমানবাহিনীর ‘সি-১৭’ বিমানে চাপিয়ে জামনগরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) আধিকারিক ও উদ্ধার কর্মীদের। বিএসএফকেও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে গুজরাত প্রশাসন সূত্রে খবর।
আবহাওয়াবিদরা নজর রাখছেন বায়ুর গতিপথের দিকে। ছবি: রয়টার্স
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy