Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Gujarat Weather Update

ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এগোচ্ছে পাকিস্তানের দিকে, তবে গুজরাতের বিপদ এখনই কাটছে না! জারি সতর্কতা

পাকিস্তানের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ যে সে ঘূর্ণিঝড় নয়। গত ৮০ বছরে মাত্র চার বার এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে। নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে স্থলে এবং এই নিম্নচাপ থেকে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সমুদ্রে।

Cyclone Asana swirling off the coast of Kachchh and neighbouring regions of Pakistan

বন্যা পরিস্থিতি গুজরাতের বহু জায়গায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ২২:২১
Share: Save:

আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে ভাসছে গুজরাত। তার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। তবে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কচ্ছ এবং সংলগ্ন পাকিস্তানের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। সেটি ক্রমে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের পশ্চিম দিকে সরছে। করাচির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ছ’ঘণ্টায় ছ’কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় এগোচ্ছে ক্রমশ। সেই গতিবেগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে সরে যাবে। তবে নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিন ধরে গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। পাকিস্তানের দিকে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হলেও গুজরাতের উপর থেকে এখনই দুর্যোগের মেঘ কাটছে না। আগামী দু’দিন গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

পাকিস্তানের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ যে সে ঘূর্ণিঝড় নয়। গত ৮০ বছরে মাত্র চার বার এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে। নিম্নচাপ সাধারণত তৈরি হয় সমুদ্রে। পরে তা শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়ে স্থলে। কিন্তু আসনার ক্ষেত্রে উল্টো। নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে স্থলে এবং এই নিম্নচাপ থেকে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সমুদ্রে। শুক্রবার থেকেই দেশের পশ্চিম উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। রাজ্যের সাতটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তার মধ্যে রয়েছে, কচ্ছ, জামনগর, মোরবী, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কচ্ছ এবং আশপাশের এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড়টি ভূজের প্রায় ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে অবস্থান করছে।

অতি বৃষ্টির প্রভাবে গত চার দিনে গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩৬। তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১৮০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ১২০০ জনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গুজরাতের বরোদা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বিশ্বামিত্রী নদীর জলস্তর বেড়েছে। অনেক নীচু এলাকা জলমগ্ন।

অন্য বিষয়গুলি:

Gujarat flood Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy