গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বা আর্থিক বৃদ্ধির হার গত পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে এ বার সর্বনিম্ন! শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) প্রকাশিত তথ্য বলছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশ। গত বছর একই ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। সরকারি তথ্য বলছে, আর্থিক বৃদ্ধি নিম্নগামী হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মন্দা।
গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের আর্থিক বৃদ্ধি প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৮.৪ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এই হার ভারতের অর্থনীতির শক্তি ও ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে অবশ্য বৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশের উপর বা আশপাশে। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ বৃদ্ধি ছিল ৬.২ শতাংশ। তবে এ বছর এপ্রিল-জুন অর্থবর্ষে চিনের বৃদ্ধির হার ৪.৭ শতাংশ হওয়ায় ভারতই এখন সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি। এনএসও-র বর্তমান তথ্য বলছে, কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৩.৭ থেকে নেমে ২ শতাংশ হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে অবশ্য বৃদ্ধির হার অবশ্য ৭ শতাংশের আশপাশে আছে। যদিও আবাসন এবং কর্মক্ষেত্রে জিভিএ ১২.৬ শতাংশ থেকে ৭.১ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন)-র থেকেও জিভিএ (মোট যুক্তমূল্য বা দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য)-র হিসাব দিয়ে অর্থনীতির হালহকিকত বেশি ভাল ভাবে বোঝা যায়। কারণ, জিভিএ-র সঙ্গে কর ও ভর্তুকির নিট ফল যোগ করে জিডিপি পাওয়া যায়। ধরা যাক, দেশে গত বছর ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছিল। এ বছরও ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছে। জিভিএ-র হিসাব বলবে, বৃদ্ধির হার শূন্য। কিন্তু ওই পণ্যের উপর যদি এ বছর ২০ টাকা কর চাপে, তা হলে গত বছরের জিডিপি ১০০ টাকা হলেও এ বছর তা ১২০ টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ এবং অন্যান্য লাভজনক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৩.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০.৪ শতাংশ। নির্মাণ ক্ষেত্রে গত বছর একই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৬ শতাংশ। এই ত্রৈমাসিকে তার হার ১০.৫ শতাংশ। হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। যদিও চলতি বছরে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞেরা। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ উপাসনা ভরদ্বাজ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘‘২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের প্রথম দিকে প্রত্যাশার চেয়ে বৃদ্ধির হার কমই হয়েছে। তবে জিভিএ ভাল থাকায় কৃষিক্ষেত্র ছাড়া অন্য ক্ষেত্রগুলিতে বৃদ্ধির হার ভালই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy