Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
ঘটনা নিয়ে দ্বিমত
Kashmir

তুষারপাতে বাঙালি সিআরপিএফ অফিসারের মৃত্যু

বাঁকুড়ার খাতড়ার জীবনপুরে বাড়ি সুবলবাবুর। তাঁর ছেলে সৌমেন মুর্মু জানান, বাঁকুড়ার খাতড়ার জীবনপুরের সুবলচন্দ্র মুর্মু জম্মুর শ্রীনগরের হয়রতবালে সিআরপি-র ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৩৭
Share: Save:

কাশ্মীরে তুষারপাতের জেরে মারা গেলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এক সিআরপিএফ অফিসার। তবে ঠিক কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে দ্বিমত দেখা দিয়েছে।

শ্রীনগরে সিআরপিএফের মুখপাত্র পঙ্কজ সিংহ জানিয়েছেন, হজরতবলে রাজনৈতিক নেতা সৈয়দ এ আখুনের বাড়িতে মোতায়েন ছিলেন বছর পঞ্চান্নর সুবলচন্দ্র মুর্মু। বুধবার অতিরিক্ত তুষারপাতের ফলে বাড়ির একটি শেড ভেঙে পড়ে আহত হন তিনি। হজরতবালের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে শ্রীনগরের এস কে ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ পাঠানো হয়।
সেখানে সিআরপিএফের ওই অফিসারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিমানে তাঁর দেহ কলকাতা পাঠানো হয়েছে।

বাঁকুড়ার খাতড়ার জীবনপুরে বাড়ি সুবলবাবুর। তাঁর ছেলে সৌমেন মুর্মু জানান, বাঁকুড়ার খাতড়ার জীবনপুরের সুবলচন্দ্র মুর্মু জম্মুর শ্রীনগরের হয়রতবালে সিআরপি-র ১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। বছর পঞ্চান্নর ওই প্রৌঢ়ের ছেলে সৌমেন আরও জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। বেলা ১১টা নাগাদ একটি ফোন আসে। সেই ফোনটিতে জানানো হয়, তাঁবুতে বিশ্রাম করার সময়ে বরফে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুবলবাবুর।

সৌমেন জানিয়েছেন, সিআরপিএফের তরফে দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে দেহ বাড়িতে পৌঁছোনোর কথা।

সৌমেন জানান, গত নভেম্বরে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন তাঁর বাবা। ৫ ডিসেম্বর ফিরে যান। সুবলবাবুর বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী মাধবীদেবী, বৃদ্ধা মা রসমণিদেবী, ছেলে সৌমেন ও মেয়ে মৌসুমী। সৌমেন মাধ্যমিক পাশ করে চাষবাস করেন। মৌসুমী প্রাথমিকে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সৌমেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বাড়ির কাউকে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মা আর ঠাকুমা খুবই অসুস্থ। কী ভাবে ওদের এই খবরটা বলে উঠব কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না।’’

এসডিপিও (খাতড়া) কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ দেহ কলকাতায় পৌঁছানোর কথা বলে শুনেছি। সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছাতে শুক্রবার সকাল হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kashmir Snowfall
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy