(বাঁ দিকে) সুখবিন্দর সিংহ সুখু এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। — ফাইল চিত্র।
ভাঙনের আঁচ মিলেছিল মঙ্গলবার সকালেই। হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভা সাংসদ প্রতিভা সিংহ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের কার্যকলাপে কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। রাজ্যসভা ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।’’ বেলা গড়াতে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু স্বীকার করে নিলেন ‘ক্রস ভোটিং’ হয়েছে। সেই সঙ্গে বললেন, ‘‘বিধায়কেরা বিক্রি না হলে আমরাই জিতব।’’
এই পরিস্থিতিতে পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাবে এগিয়ে থেকেও কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তাঁর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী হর্ষ মহাজনকে হারাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। হিমাচলে রাজ্যসভার একটি আসনে সরাসরি লড়াই কংগ্রেস এবং বিজেপির। ফলে ক্রস ভোটিংয়ের কারণে কংগ্রেস প্রার্থী হেরে গেলে সরাসরি প্রশ্ন উঠবে সুখু সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই গণনাপর্ব শেষ হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।
৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ৪০। এ ছাড়া তিন জন নির্দল বিধায়ক সুখু সরকারকে সমর্থন করছেন। অন্য দিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। অর্থাৎ, সরকার পক্ষের ন’জন বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিলেই সঙ্কটে পড়বে সুখু সরকার। ঘটনাচক্রে, সুখুর বিরোধী অন্তত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক কাংড়া অঞ্চলের বাসিন্দা। বিজেপি প্রার্থী হর্ষ কাংড়ারই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। প্রতিভা এবং তাঁর পুত্র তথা হিমাচলের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্যের সঙ্গেও তাঁর ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। হিমাচলের এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কংগ্রেস বিধায়ককে মঙ্গলবার ভোট দেওয়ানোর জন্য বিধানসভায় আনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy