ফাইল চিত্র।
দুই থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপরে করোনার প্রতিষেধকের যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হচ্ছিল, তা শেষ হয়েছে বলে জানাল কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেক। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র কাছে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে হায়দরাবাদের এই প্রতিষেধক নির্মাতা সংস্থা।
ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা আজ জানিয়েছেন, শিশু ও কিশোরদের (২-১৮ বছর) প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হয়েছে। সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তা জমা দেওয়া হবে। এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোভ্যাক্সিনের উৎপাদনের বিষয়ে এল্লা জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরেই সাড়ে ৫ কোটির গণ্ডি পেরোবে তাঁদের সংস্থার প্রতিষেধক। এর পাশাপাশি তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাঁদের সংস্থার ইন্ট্রানেজ়াল প্রতিষেধকের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হবে। ৬৫০ স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের তিনটি দলে ভাগ করে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম দলকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় এবং ইন্ট্রানেজ়াল প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দলটিকে ইন্ট্রানেজ়াল প্রতিষেধকেরই দু’টি ডোজ় দেওয়া হয়। তৃতীয় দলটিকে প্রথমে ইন্ট্রানেজ়াল প্রতিষেধক এবং পরে কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রথম দফার প্রতিষেধক দেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়।
এ দিকে এক গবেষণায় সামনে এসেছে যে, অগস্টের শেষে দেশে আর ভ্যালু যেখানে ১.১৭ ছিল, সেটাই সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কমে হয়েছে ০.৯২। আর ভ্যালু বা রিপ্রোডাকটিভ ভ্যালু হল, এক জন ব্যক্তি কত জনকে সংক্রমিত করতে পারেন সেই সংখ্যা।
গবেষক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস-এর সীতাভ্র সিন্হা। তিনি জানিয়েছেন, দেশে আর ভ্যালু একের নীচে নেমে আসায় উদ্বেগ কমেছে। যদিও মুম্বই (১.০৯), কলকাতা (১.০৪), চেন্নাই (১.১১), বেঙ্গালুরুর (১.০৬) মতো বড় শহরে আর ভ্যালু একের উপরেই রয়েছে। তবে দিল্লি ও পুণেয় তা একের কম।
দেশে মহারাষ্ট্র ও কেরলের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু গবেষকেরা জানিয়েছেন, দুই রাজ্যেই আর ভ্যালু একের কম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কালের তুলনায় আজ করোনা সংক্রমণ ১৩.৬ শতাংশ কমেছে। দৈনিক সংক্রমণ হার ১.৮৫ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy