চলন্ত অবস্থাতেই দু’ভাগ হয়ে গেল ওড়িশাগামী নন্দনকানন এক্সপ্রেস। কয়েকটি কামরা নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিন এগিয়ে যায়। বাকি কামরাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কাপলিং ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি বলে রেল সূত্রে খবর। তবে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।
জানা গিয়েছে, সোমবার নয়াদিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে পুরী যাচ্ছিল ট্রেনটি। পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায় জংশন থেকে কিছুটা দূরে চন্দৌলী স্টেশনের কাছে ট্রেনের একটি কামরার কাপলিং (যার মাধ্যমে একটি কামরার সঙ্গে আর একটি কামরা যুক্ত থাকে) খুলে যায় । যাত্রীরা জানাচ্ছেন, আচমকাই ঝাঁকুনি অনুভব করেন তাঁরা। তার পর কিছু ক্ষণের মধ্যে ট্রেন থেমে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েছিলেন যাত্রীরা।
এক যাত্রীর কথায়, ‘‘প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে। কিন্তু ঝাঁকুনি লাগায় কিছু একটা হয়েছে আঁচ করতে পেরেছিলাম। ট্রেন থামতেই নেমে দেখি, আমাদের কামরা-সহ বেশ কয়েকটি কামরা ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পরে জানলাম, কাপলিং ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি।’’
ট্রেনটি পুরী যাচ্ছিল। ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনার জেরে তিন ঘণ্টা দেরিতে চলে ট্রেন।