দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ।
গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩৫-৩৬ হাজারের গণ্ডিতে ঘোরাফেরা করছিল। মঙ্গলবার তা কমে নেমে এসেছে ২৬ হাজারে। তবে দৈনিক মৃত্যু সোমবারের মতোই ৪০০-র কম। পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমে হয়েছে আড়াই শতাংশের আশপাশে। যা অক্টোবর থেকে এই প্রথম। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৫৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৯৭ লক্ষ ৩ হাজার ৭৭০ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত দেড় কোটি ছুঁতে চলেছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অক্টোবরের শেষ থেকেই আমেরিকাতে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ১ মাস ধরে তা রোজই ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। এই সময়কালে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৯০ হাজার। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখন পর্যন্ত ৬৬ লক্ষ ২৩ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৫৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৯৭ লক্ষ ৩ হাজার ৭৭০ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত দেড় কোটি ছুঁতে চলেছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অক্টোবরের শেষ থেকেই আমেরিকাতে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ১ মাস ধরে তা রোজই ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। এই সময়কালে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৯০ হাজার। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখন পর্যন্ত ৬৬ লক্ষ ২৩ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৮৫ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৭ হাজার ৭৭৪ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (৯,৭০৬), পশ্চিমবঙ্গ (৮,৭৭১), উত্তরপ্রদেশ (৭,৯৪৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০৩৮)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৮৫ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৭ হাজার ৭৭৪ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (৯,৭০৬), পশ্চিমবঙ্গ (৮,৭৭১), উত্তরপ্রদেশ (৭,৯৪৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০৩৮)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আক্রান্ত এবং মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যেই স্বস্তিদায়ক দেশের সুস্থতার হার। ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়া শুরু থেকেই আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৪৬ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় সাড়ে ৯৪ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ১০৯ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে কমছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১২ হাজার ৮৬৩ কমেছে। কমতে কমতে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৬৬ জন।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২.৫৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৯৯ জনের।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২.৫৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৯৯ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে কমেছে। নভেম্বরের শুরুতে থেকে দিল্লিতে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৪ জন। কেরলে আজ দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ হাজারের কম। মহারাষ্ট্রেও তা ৩ হাজার। অন্য দিকে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ,গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত।
পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২১৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৫৪ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৫৪ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৮ হাজার ৭৭১ জনের।
পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২১৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৫৪ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৫৪ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৮ হাজার ৭৭১ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy