দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
দেশের দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার ফের ১৭ হাজার ছাড়াল। ১১ জানুয়ারি ১৭ হাজারের নীচে নেমেছিল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। তার পর নানা ওঠানামা চললেও ১৭ হাজারের নীচেই ছিল তা। দেশের সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ। বেশ কয়েক মাস পর ওই রাজ্যে তা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। পাশাপাশি পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৭ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৯ হাজার ৮৫৫ জন। কেরলে তা ২ হাজার ৭৬৫ জন। সপ্তাহখানেক আগে এই দু’টি রাজ্য ছাড়া দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে দৈনিক সংক্রমণ ৫০০-র নীচে নেমেছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে পঞ্জাব, কর্নাটকে তা ৫০০ ছাড়াচ্ছে। তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে তা ৫০০ ছুঁইছুঁই।
সংক্রমণ বাড়লেও দেশের দৈনিক মৃত্যু গত তিন দিন ধরে ১০০-র নীচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৩৫ জনের। এর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের থেকে দৈনিক সুস্থ বেশি হওয়ায় ধারবাহিক ভাবে কমছিল দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কিন্তু এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উল্টে গিয়েছে এই প্রবণতা। যার জেরে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৩ হাজার ২৮৭। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪১৩ জন। দেশে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী-সহ দেশের প্রশাসনের একাংশকে টিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৯৯ জনকে। এ নিয়ে দেশে মোট টিকাকরণ হল ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৮ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy