প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে দেশে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। বুধবার টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। মানবদেহে তৃতীয় তথা চূড়ান্ত দফার পরীক্ষার পর এই ফল মিলেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা।
কৃষ্ণ বলেন, ‘‘এই কোভিড টিকার আবিষ্কার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’’ তিনি জানান, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) পর তৃতীয় দফার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ২৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে এই ফল পেয়েছেন।
ভারত বায়োটেকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যাঁরা কখনও করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হননি, তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় টিকা প্রয়োগের পর কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে’। আগামী দিনে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন রূপগুলির সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরী টিকা প্রস্তুতির বিষয়টিতে ভারত বায়োটেক সক্রিয় হবে বলেও জানান কৃষ্ণ।
তৃতীয় দফার পরীক্ষার ফল মেলার আগেই জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের ছাড়পত্র মিলেছিল। তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ। কিন্তু দেশে তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ অভিযানে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রথম দফায় কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন।
বুধবার কোভ্যাক্সিনের সফলতার রিপোর্ট প্রকাশের পরে ভারত বায়োটেকের সহযোগী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘এই সাফল্য আত্মনির্ভর ভারতের অপরিসীম শক্তির প্রতীক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy