Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus update

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৮৫১২, ফের বাড়ল সংক্রমণ হার

গত দু’দিনে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ হাজার ৫১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ হাজার ৫১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ১০:৫৩
Share: Save:

দেশে দৈনিক নতুন সংক্রমণ পাঁচ দিন ধরেই রয়েছে ৭৫ হাজারেরও বেশি। আজ তা সাড়ে ৭৮ হাজার। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্ত ৩৬ লক্ষ পেরিয়ে গেল। গত দু’দিনে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুতে মেক্সিকোকে পিছনে ফেলে তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭৬ শতাংশের বেশি হলেও গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বাড়ল সংক্রমণ হার।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ হাজার ৫১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৩৬ লক্ষ ২১ হাজার ২৪৫ জন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ হাজার ৩১৬ ও ১৬ হাজার ১৫৮ জন। অর্থাৎ আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে রোজ বেশি লোক নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ধারা গত ১৫ দিন ধরেই অব্যাহত। আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৫৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৩৮ লক্ষ ৬২ হাজার।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৯.২৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৭৮ জনের। যা গত চার দিনের তুলনায় কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্তের সংখ্যা যেমন রোজ বাড়ছে, তেমনই প্রচুর মানুষ সুস্থও হয়ে উঠছেন। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান শুরু থেকেই আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের তিন চতুর্থাংশেরও বেশি সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৮ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

স্পেন, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেনের মতো দেশকে আগেই পিছনে ফেলেছিল ভারত। এ বার মেক্সিকোকে পিছনে ফেলে মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। তবে আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। পাশাপাশি ওই সব দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হারও অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৯৭১ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৬৪ হাজার ৪৬৯ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৪ হাজার ৩৯৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৮৯। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৪২৬ জন। অন্ধ্রপ্রদেশ (৩,৮৮৪), উত্তরপ্রদেশ (৩,৪২৩), পশ্চিমবঙ্গ (৩,১৭৬), গুজরাত (৩,০০৬) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। পঞ্জাব (১,৪০৪), মধ্যপ্রদেশ (১৩,৭৪), রাজস্থানে (১,০৪৩) মোট মৃত্যু এক হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর তালিকায় রয়েছে পঞ্জাব, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, গোয়া-র মতো রাজ্যগুলি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৮৯ জন, রোজ আক্রান্ত বাড়ছে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি। তামিলনাড়ুকে পিছনে ফেলে সংক্রমণ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছে ১০ হাজার। সেখানে মোট আক্রান্ত ৪ লক্ষ ২৪ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ২২ হাজার। তামিলনাড়ুতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি আগের থেকে একটু কম হচ্ছে। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার। উত্তরপ্রদেশেও মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ২৫ হাজার। দিল্লি (১,৭৩,৩৯০) ও পশ্চিমবঙ্গ (১,৫৯,৭৮৫), বিহার (১,৩৫,০৩৫) ও তেলঙ্গানাতে (১,২৪,৯৬৩) মোট আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। অসম ও ওড়িশাতে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ছাড়িয়েছে।

গুজরাতে মোট আক্রান্ত এখন ৯৫ হাজার। রাজস্থানে সংখ্যাটা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। কেরল ৭০ হাজার পার করেছে। হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৬০ হাজারের বেশি। পঞ্জাবে ৫২ হাজার, জম্ম ও কাশ্মীরে ৩৭ হাজার ও ঝাড়খণ্ডে মোট আক্রান্ত ৩৮ হাজার। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরা। মণিপুর, হিমাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১০ হাজারের কম।

পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ তিন হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে, নতুন করে ৩ হাজার ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। করোনার কবলে এ রাজ্যে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ১৭৬ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy