দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
দেশ জুড়ে টিকাকরণ শুরু হলেও বিভিন্ন প্রান্তে এখনও দৈনিক সংক্রমণে রাশ পড়েনি। মহারাষ্ট্র, কেরলের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রের কিছু কিছু এলাকায় ফের বেড়েছে নতুন সংক্রমণ। চিন্তা বাড়িয়ে যার জেরে দেশের দৈনিক আক্রান্তদের সংখ্যা ফের পৌঁছে যাচ্ছে ১৩-১৪ হাজারে। বুধবার দৈনিক মৃত্যুও ১০০ পেরিয়েছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৭৬ জন। মোট আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে প্রথম আমেরিকা। সেখানে এখনও অবধি আক্রান্ত ২ কোটি ৮২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সেখানে মোট মৃত্যুও ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও মোট আক্রান্ত ১ কোটি ছাড়়িয়েছে।
দেশে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা অনেক দিনই ১০০-র নীচে নেমেছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যে তা ১০০-র ছাড়াচ্ছে। যেমন বুধবার মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৬৭ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৮৫৭ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু ১২ হাজারের বেশি। দিল্লি,পশ্চিমবঙ্গেও তা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব, গুজরাত, কেরলেও মোট মৃত্যুর সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য।
আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পাশাপাশি দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যান শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। ইতিমধ্যে দেশে ১ কোটি ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০২ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। দেশের মোট আক্রান্তের ৯৭.২৫ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণ হার ১.৭১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫ হাজার ৮৪৪ জনের।
গত মাসে কেরল ছাড়া বাকি রাজ্যগুলির দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত ক’দিনে মহারাষ্ট্রে ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। আড়াই-তিন হাজারের আশপাশে থাকতে থাকতে তা লাফিয়ে বেড়ে গত কয়েক দিনে ৫-৬ হাজারে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যেও আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজার ছাড়ালেও কেরলে তা কমে আড়াই হাজারের নীচে।
পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ১৮৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৭ জন। করোনার জেরে এ রাজ্যে মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ২৫৩ জন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy