অণুবীক্ষণের নীচে কোভিড-১৯ ভাইরাস। - ফাইল ছবি।
কোভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের পরিবেশে এল কী ভাবে? প্রাকৃতিক ভাবে? নাকি গবেষণাগারে? এটা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা বায়োটেকনোলজি দফতর। জানাল, বিভিন্ন গবেষণার পর বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস কোনও গবেষণাগারে জন্মায়নি। প্রাকৃতিক ভাবেই তার উৎপত্তি হয়েছে। যেমন জন্ম হয়েছে ‘সার্স’ ও ‘মার্স’ ভাইরাসগুলির। গত ডিসেম্বরে উহানে প্রথম করোনা রোগীর হদিশ মেলার পরেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল চিনের দিকে। বলা হচ্ছিল, গবেষণাগারে জীবাণু অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করতে গিয়েই এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে আমাদের পরিবেশে এনেছে চিন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব রেণু স্বরূপ বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক গবেষকদল, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমাল হেল্থ ও রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (‘ইউএনফাও’)-এর বিভিন্ন গবেষণা এই ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি এসেছে প্রাণীদের থেকেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। জানিয়েছে, কোনও গবেষণাগারে এই ভাইরাসের জন্ম হয়নি। ফলে, এটা নিয়ে আর ভিন্ন মতামত থাকা উচিত নয়। কারণ এটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।’’
কেন্দ্রীয় বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব এও জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জুনের শেষাশেষি দেশে র্যাপিড অ্যান্ড মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক টেস্ট চালুরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে কোভিড-১৯-এর টিকা বানানোর গবেষণা চালাচ্ছে ভারতের অন্তত ৬টি সংস্থা। তা ছাড়াও, মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি ‘কোডাজেনিক্স’-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড-১৯-এর একটি ‘লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড’ টিকা বানানোরও তোড়জোড় চলছে। হায়দরাবাদের ‘ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)’-ও এগোচ্ছে একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে দু’টি টিকা বানানোর পথে।
আরও পড়ুন- লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হবে না তো! আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
আরও পড়ুন- উহানের পর ঢাকায় ২১ দিনে প্রস্তুত বসুন্ধরা গ্রুপের ২০১৩ বেডের করোনা হাসপাতাল
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy