Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
National news

বাড়ির দরজায় প্রশাসন, পাঁচ মন্ত্রে নিজের জেলাকে সংক্রমণ মুক্ত রেখে দেশকে পথ দেখাচ্ছেন ইনি

নিকটবর্তী রাজ্য অসমে অন্তত ৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল নাগাল্যান্ডেও কলকাতা ফেরত এক ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর তার পরই নড়েচড়ে বসেছে নাগাল্যান্ডের মন জেলা প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৭
Share: Save:
০১ ১১
নিকটবর্তী রাজ্য অসমে করোনাভাইরাসে অন্তত ৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল নাগাল্যান্ডেও কলকাতা ফেরত এক ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর তার পরই নড়েচড়ে বসেছে নাগাল্যান্ডের মন জেলা প্রশাসন।

নিকটবর্তী রাজ্য অসমে করোনাভাইরাসে অন্তত ৩৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল নাগাল্যান্ডেও কলকাতা ফেরত এক ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর তার পরই নড়েচড়ে বসেছে নাগাল্যান্ডের মন জেলা প্রশাসন।

০২ ১১
লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করেও যাতে বাসিন্দাদের খাবার এবং উপার্জনে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে দেশকে পথ দেখাচ্ছে নাগাল্যান্ডের মন জেলা।

লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করেও যাতে বাসিন্দাদের খাবার এবং উপার্জনে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে দেশকে পথ দেখাচ্ছে নাগাল্যান্ডের মন জেলা।

০৩ ১১
দরজায় দরজায় সব্জি, খাবার, ব্যাঙ্ক, জল-গ্যাস-ওষুধ এবং করোনাভাইরাসের পরীক্ষা- এই পাঁচ মন্ত্রেই এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যের মন জেলায় একটাও সংক্রমণ হতে দেননি এক আইএস অফিসার, জেলার ডেপুটি কমিশনার থাভাসীলান কে।

দরজায় দরজায় সব্জি, খাবার, ব্যাঙ্ক, জল-গ্যাস-ওষুধ এবং করোনাভাইরাসের পরীক্ষা- এই পাঁচ মন্ত্রেই এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যের মন জেলায় একটাও সংক্রমণ হতে দেননি এক আইএস অফিসার, জেলার ডেপুটি কমিশনার থাভাসীলান কে।

০৪ ১১
মন জেলার মানুষের মূল জীবিকা চাষাবাদ। লকডাউনের জেরে চাষাবাদ বন্ধ না থাকলেও বেশিরভাগ বাজার বন্ধ থাকায় ফসল বিক্রি করতে পারছিলেন না চাষিরা। ফলে উপার্জন হচ্ছিল না।

মন জেলার মানুষের মূল জীবিকা চাষাবাদ। লকডাউনের জেরে চাষাবাদ বন্ধ না থাকলেও বেশিরভাগ বাজার বন্ধ থাকায় ফসল বিক্রি করতে পারছিলেন না চাষিরা। ফলে উপার্জন হচ্ছিল না।

০৫ ১১
তাঁদের কথা ভেবেই তাই মন জেলা ডেপুটি কমিশনারের প্রথম দাওয়াই ছিল ‘ফার্ম টু টেবিল’। অর্থাত্ সবজি সরাসরি মাঠ থেকে দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবে। আর তার জন্য চাষীদের লকডাউন উপেক্ষা করে বাইরে বার হতেও হবে না।

তাঁদের কথা ভেবেই তাই মন জেলা ডেপুটি কমিশনারের প্রথম দাওয়াই ছিল ‘ফার্ম টু টেবিল’। অর্থাত্ সবজি সরাসরি মাঠ থেকে দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবে। আর তার জন্য চাষীদের লকডাউন উপেক্ষা করে বাইরে বার হতেও হবে না।

০৬ ১১
এর জন্য স্থানীয় চার্চ এবং হিল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেলা কমিশনার। এদের মাধ্যমেই বাড়িতে বাড়িতে সবজি পৌঁছে দেওয়ার হবে স্থির হয়। তার জন্য ডেলিভারি চার্জ লাগবে ১০ টাকা।

এর জন্য স্থানীয় চার্চ এবং হিল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেলা কমিশনার। এদের মাধ্যমেই বাড়িতে বাড়িতে সবজি পৌঁছে দেওয়ার হবে স্থির হয়। তার জন্য ডেলিভারি চার্জ লাগবে ১০ টাকা।

০৭ ১১
যাঁরা ফল-সব্জি নিতে আগ্রহী, তাঁদের মঙ্গল এবং বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে জেলা প্রশাসনের দেওয়া একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিতে হবে। দুপুর ২টো থেকে সেই সমস্ত সামগ্রী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে।

যাঁরা ফল-সব্জি নিতে আগ্রহী, তাঁদের মঙ্গল এবং বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে জেলা প্রশাসনের দেওয়া একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিতে হবে। দুপুর ২টো থেকে সেই সমস্ত সামগ্রী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে।

০৮ ১১
দ্বিতীয় মন্ত্র হল দরজায় দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। ব্যাঙ্কে যাতে উপচে পড়া ভিড় না হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে টাকা তোলার জন্য আর পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে যেতে হবে না। পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ওই জেলার প্রতিটা বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন।

দ্বিতীয় মন্ত্র হল দরজায় দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। ব্যাঙ্কে যাতে উপচে পড়া ভিড় না হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে টাকা তোলার জন্য আর পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে যেতে হবে না। পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ওই জেলার প্রতিটা বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন।

০৯ ১১
তেমনই বাড়ি বাড়ি জল, গ্যাস এবং ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এর জন্য দুটো নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করে যা যা লাগবে জানাতে হবে বাসিন্দাদের। এ ক্ষেত্রেও ডেলিভারি চার্জ লাগবে ১০ টাকা। আর যদি প্যাকেজিং ১০ কিলোর বেশি হয়, তা হলে আরও অতিরিক্ত ১০ টাকা ডেলিভারি চার্জ লাগবে।

তেমনই বাড়ি বাড়ি জল, গ্যাস এবং ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এর জন্য দুটো নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করে যা যা লাগবে জানাতে হবে বাসিন্দাদের। এ ক্ষেত্রেও ডেলিভারি চার্জ লাগবে ১০ টাকা। আর যদি প্যাকেজিং ১০ কিলোর বেশি হয়, তা হলে আরও অতিরিক্ত ১০ টাকা ডেলিভারি চার্জ লাগবে।

১০ ১১
চতুর্থ মন্ত্র হল খাবার। গরিব এবং দুঃস্থদের যাতে খাবার পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাঁরা যেন সরকারি মূল্যে সমস্ত রেশন পেতে পারেন, তারও ব্যবস্থা করেছেন জেলার ডেপুটি কমিশনার। গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজরদারিও রয়েছে তাঁর।

চতুর্থ মন্ত্র হল খাবার। গরিব এবং দুঃস্থদের যাতে খাবার পেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাঁরা যেন সরকারি মূল্যে সমস্ত রেশন পেতে পারেন, তারও ব্যবস্থা করেছেন জেলার ডেপুটি কমিশনার। গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজরদারিও রয়েছে তাঁর।

১১ ১১
আর পঞ্চম এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হল পরীক্ষা। মন জেলার প্রতিটা বাড়িতে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছেন জেলা ডেপুটি কমিশনার। ১৩ এপ্রিল নাগাল্যান্ডে প্রথম করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর থেকেই এই স্ট্র্যাটেজি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত কারও সংক্রমণ মেলেনি। মিললে বা কোনও ব্যক্তির সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস থাকলে তত্ক্ষণাত্ তাঁকে ২৮ দিনের জন্য কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে।

আর পঞ্চম এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হল পরীক্ষা। মন জেলার প্রতিটা বাড়িতে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছেন জেলা ডেপুটি কমিশনার। ১৩ এপ্রিল নাগাল্যান্ডে প্রথম করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর থেকেই এই স্ট্র্যাটেজি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত কারও সংক্রমণ মেলেনি। মিললে বা কোনও ব্যক্তির সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস থাকলে তত্ক্ষণাত্ তাঁকে ২৮ দিনের জন্য কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy