কোভিড পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: এএফপি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ হাজার ৪৭২ জন সংক্রমিত হওয়ায় দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৩৪ লক্ষের গণ্ডি। যার ফলে আগামী মাসের গোড়াতেই সংক্রমণ-তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ভারতের উঠে আসার আশঙ্কা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও আজ করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে ৭৬.৪৭ শতাংশ হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মৃত্যুর হারও কমে ১.৮২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা বিশ্বে সর্বনিম্ন বলে দাবি মন্ত্রকের।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, এই অতিমারিকে এখনই হালকা ভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। গত কাল ইনদওরে একটি ২৩৭ কোটির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পরে তিনি বলেন, ‘‘বাকি বিশ্বের তুলনায় এ দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অনেক বেশি তৈরি। তার পরেও একে উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।’’ মন্ত্রক এ-ও জানিয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতি দিন ৯ লক্ষের বেশি মানুষের কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে দেশে।
দেশে বর্তমানে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭২। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২১ জনের। মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক মহারাষ্ট্রে (৩৩১ জন)। সুস্থতার হার সব থেকে বেশি তামিলনাড়ুতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী জানান, সে রাজ্যে সুস্থ হয়েছে ৮৫.৪৫ শতাংশ করোনা রোগী। মৃত্যুর হারও কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে। এখনও পর্যন্ত অতিমারি নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য সাত লক্ষ টাকা খরচ করেছে তামিলনাড়ু সরকার।
আরও পড়ুন: করোনার ভয় মাথায় নিয়েই হোটেল ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষা
কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপি প্রেসিডেন্ট বাঁশিধর ভগত। টুইটারে এই খবর দিয়ে আজ তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কোভিড পজ়িটিভ। আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন। তাঁরা যেন অবিলম্বে নিভৃতবাসে থাকা শুরু করেন। আশা করি আপনাদের শুভকামনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠব।’’ শনি ও রবি, এই দু’দিন বন্ধ থাকছে বিজেপির সদর দফতর।
এ দিকে, ১৬ সেপ্টেম্বর সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু আগে প্রত্যেক সাংসদ ও মন্ত্রীকে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, ‘‘সাংসদদের পাশাপাশি সব কর্মী ও অফিসারদেরও কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে কর্মী কমানো হবে।’’ পাশাপাশি, লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংখ্যা কমানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। যাঁরা থাকবেন তাঁদেরও করোনা-পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy