ছবি: এপি।
গোটা দেশে লকডাউন। তার মধ্যেই গাড়িতে করে সুদূর রাজস্থানের জোধপুরে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ছেলেকে দেখতে ছয় রাজ্যের মধ্যে দিয়ে তিন দিনে ২৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন কেরলের এক মহিলা। বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার নাম সীলাম্মা ভাসান। কয়েক দিন আগেই লকডাউনে আটকে পড়া ছেলেকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ফেরাতে স্কুটি চড়ে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সারা দেশের নজরে এসেছিলেন তেলঙ্গানার রাজিয়া সুলতানা।
সীলাম্মার ছেলে অরুণ কুমার বিএসএফ-এ কর্মরত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অরুণ কুমার মায়োসাইটিস (পেশির যন্ত্রণা)-এ ভুগছেন। তবে তাঁর অবস্থা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল। মাঝে তাঁর অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। সে সময় জোধপুর এমস-এ কর্মরত এক মালয়ালি চিকিৎসক অরুণ কুমারের পরিবারকে খবর পাঠান। তার পরেই সীলাম্মা সিদ্ধান্ত নেন, পুত্রবধু এবং এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে তিনি ছেলেকে দেখতে যাবেন। দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যে যাতে তাঁর অসুবিধা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পাসের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের দফতর। খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন কংগ্রেস নেতা ওমেন চাণ্ডি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধরনও। তার পরেই ১১ এপ্রিল কোট্টায়াম থেকে রওনা হয়ে তামিলনাডু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাত হয়ে ১৪ এপ্রিল মালয়ালি নববর্ষের দিন রাজস্থানে পৌঁছন সীলাম্মা। রাজস্থানে একটি সংগঠন তাঁদের বিনামূল্যে জোধপুরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সংবাদসংস্থাকে সীলাম্মা জানিয়েছেন, ‘আমাদের এখানে পৌঁছতে পথে কোনও সমস্যা হয়নি।’ এত দূর নির্বিঘ্নে পাড়ি দিয়ে ছেলের কাছে পৌঁছে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে আপাতত নিশ্চিন্ত মা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy