ছবি: পিটিআই।
করোনা পরিস্থিতিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার বিষয়ে সবিস্তার আচরণবিধি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
ওই আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য স্কুলের প্রধান ফটকে থার্মাল গান রাখতে হবে। সকলের মুখে মাস্ক বা কাপড়ের আচ্ছাদন থাকতে হবে। স্কুল খোলার আগে ক্লাসরুম, অফিস, গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার স্যানিটাইজ় করতে হবে। দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ডেস্ক, শৌচাগারে জলের কল ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। যে সমস্ত স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার হয়েছিল, সেগুলি খোলার আগে ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ওই আচরণবিধিতে আরও বলা হয়েছে, স্কুলে হাজিরার হার ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। অনলাইন ক্লাসও চালু থাকবে। পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে চাইলে অভিভাবকের অনুমতি জরুরি।
নম্বর ধরে ধরে চারটি বাক্যে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। লিখেছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি সামলাতে মোদী সরকারের ব্যর্থতার ফলে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সপ্তাহান্তে ভারতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আমেরিকা ও ব্রাজিলের মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশি। রবিবারে সারা বিশ্বের ৪০% নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে শুধু ভারতে।’’
আরও পড়ুন: তৃতীয় বারে মৃত্যু, অসমে ফিরে আসা সংক্রমণেই উদ্বেগ
আচরণবিধি
স্কুলে (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি)
• কন্টেনমেন্ট জ়োনে স্কুল বন্ধ
• সেখানের বাসিন্দারা স্কুলে যেতে পারবেন না
• বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধ
• স্কুলে এলে অভিভাবকের অনুমতি লাগবে
• হাজিরা ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে
• প্রধান ফটকে থার্মাল গান
• দূরত্ববিধি, মাস্ক আবশ্যক
• শ্রেণিকক্ষ, অফিস, গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, দরজার হাতল, রেলিং, জলের কল, লিফ্ট জীবাণুমুক্ত করতে হবে
• হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে
প্রায় স্কুলেরই সমস্ত নিয়ম। এর পাশাপাশি—
• উপসর্গহীন পড়ুয়াদের জন্য হস্টেল খুলতে হবে
• ১৪ দিনের কোয়রান্টিনের পরে ক্লাসে যাওয়া যাবে
• স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ-ক্রমে উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমতি জরুরি
(সূত্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক)
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা পরপর গত দু’দিন নব্বই হাজারের গণ্ডি পেরোনোর পরে আজ অবশ্য ৭৫ হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু লেখচিত্র ভবিষ্যতেও নিম্নগামী হবে, এমন আশ্বাস দিতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, সাধারণ মানুষদের একাংশ গা-ছাড়া মনোভাব নিচ্ছেন বলে রাজ্যগুলি থেকে অভিযোগ। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেন, ‘‘উপসর্গ থাকলে নিজে থেকে পরীক্ষা করাতে এগিয়ে আসা দরকার।’’ মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার রাখা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি ফের মনে করিয়ে দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্য, ভারতে প্রতি দশ লক্ষে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩১০২, যা বিশ্বের সবচেয়ে কম পরিসংখ্যানগুলির একটি। সারা বিশ্বে প্রতি দশ লক্ষে কোভিডে মৃত্যুর গড় ১১৫ হলেও ভারতে তা মাত্র ৫৩।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy