ছবি: পিটিআই।
কারও কোলে শিশু। কারও হাতে ব্যাগের বোঝা। তাঁরা অসমের বাসিন্দা। দিন তিনেক ধরে অসম-বাংলা সীমান্তের বক্সিরহাটে অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে নিজের রাজ্যের দরজা খুলবে, তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে তাঁদের কয়েক জন অসমে ঢোকার চেষ্টা করলে সেখানকার পুলিশ বাধা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয় বলেও সূত্রের খবর।
অসমের ওই বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কেন তাঁদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হবে না? সেখানে বেশ কয়েক জন মেঘালয়ের বাসিন্দাও ছিলেন বলে দাবি। স্থানীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, তাঁরাও একই প্রশ্ন তোলেন। এ দিনই বক্সিরহাট থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অসমের ছাগলিয়ায় পরিদর্শনে এসেছিলেন সেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা। তিনি দাবি করেন, বাংলা সরকার সঠিক বলছে না। তাঁর কথায়, অসম সীমানায় কেউ নেই।
পীযূষের কথায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘আটকে থাকা ওই অসমিয়াদের আমাদের সরকার খাবার দিচ্ছে। কিন্তু কেন তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে না?” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য তৃণমূল সরকারের উপরে দোষ চাপিয়ে বলেন, “অসম সীমানায় ওই বাসিন্দাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অসম পরিকল্পনামাফিক কাজ করছে। ওই বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সব নথিবদ্ধ করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: লকডাউন বিধি মানা নিয়ে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: মোতায়েন এনডিআরএফ, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা বৈঠকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
সন্ধ্যার পরে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা যা বলেন, তার সঙ্গে পীযূষের কথার কোনও মিল নেই। তিনি বলেন, ‘‘জোর করে সকলে একসঙ্গে ঢুকতে চাইলে কোয়রান্টিন ঠিক মতো হবে না। এতে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়বে। ধুবুড়িতে সাতটি শিবিরে এখনই চার হাজারের উপরে মানুষ রয়েছেন। ধাপে ধাপে না-এলে কোনও পরীক্ষাও করা সম্ভব হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy