ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আনাজের গাড়ি উল্টে দিচ্ছে মেরঠ পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
হটস্পট এলাকায় সিল করা গোটা এলাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না কেউ। এ ধরনের এক হটস্পট এলাকার কাছে দেখা গিয়েছে, একের পর এক আনাজের ঠেলাগাড়ি উল্টে ফেলে দিচ্ছেন উর্দিধারী পুলিশকর্মীরা। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের এক পুলিশ ফাঁড়ির দিকে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। লকডাউনের সময় হটস্পটের সিল করা এলাকায় বিক্রিবাটা নিষিদ্ধ হলেও পুলিশের এই আচরণ কি যুক্তিগ্রাহ্য? এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাশাপাশি, গোটা ঘটনা নিয়ে নিন্দায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের রাজনীতিকরা।
৪০ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োটি মেরঠ শহরের। মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সরু গলির মাঝে পুলিশের একটি দল যাচ্ছে। তাঁদের এক জনের হাতে রাইফেল এবং বাকিরা দাঙ্গাদমনের সময় ব্যবহৃত সাজপোশাকে রয়েছেন। কোনও রকমের প্ররোচনা ছাড়াই হঠাৎই তাঁরা গলিতে দাঁড় করানো আনাজের ঠেলাগাড়ি উল্টে দিতে থাকেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে মেরঠের স্থানীয় এক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিয়ে শহরের এক হটস্পট এলাকার কাছে আনাজের ঠেলাগাড়ি উল্টে দিতে থাকে।
এই ঘটনার পর ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক অখিলেশ নারায়ণ সিংহ বলেন, “কোভিড-১৯ হটস্পটের খুব কাছেই পড়ছে ওই এলাকাটি… আমি সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বলেছি, এ নিয়ে তদন্ত করতে। ভিডিয়ো থেকে অনেক বিষয়ই উঠে আসছে। তদন্তের সময় সে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হবে।”
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালে যত বার্থ তত যাত্রী তোলার নির্দেশ, ট্রেন থামবে ৩ স্টেশনে
আরও পড়ুন: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে গণধর্ষণের পরিকল্পনা আসলে এক ছাত্রীর! ‘বয়েজ লকার রুম’ বিতর্কে দাবি পুলিশের
আরও পড়ুন: ঘরে শিশু, ভয়ে ছুঁতে পারেন না করোনা-যোদ্ধা মা
করোনা-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশের ৭২টি জেলার মধ্যে ৩০০ এলাকা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে ৩ হাজার ৪৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে সংক্রমণের নিরিখে মেরঠের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ওই শহরে ইতিমধ্যেই ২৪২ জন সংক্রমিত বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হটস্পট এলাকাগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুধ বা আনাজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। হটস্পট এলাকায় বিক্রিবাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনার নিন্দা করে মেরঠের বিধায়ক তথা এসপি নেতা হাজি রফিক আনসারি বলেন, “মাস দুয়েক হতে চলল, সব কিছু বন্ধ। কোথাও খাবার নেই, কাজকর্ম নেই। তা সত্ত্বেও মনে হয়, সকলে লাঠি খাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। পুলিশ যদি এ ধরনের কাজ করে, তবে সকলের কাছে খাবার বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছবে কী ভাবে?”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy