—ফাইল ছবি
লকডাউনের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা যেন থমকে না যায়, সে জন্য গত ২০ এপ্রিল থেকে মনরেগা প্রকল্প চালু করে দিতে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কর্মসংস্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে ওই প্রকল্প। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে মাত্র ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে কাজ দেওয়া গিয়েছে, যা অন্যান্য বারের তুলনায় ৮২ শতাংশ কম। গত ৫ বছরে এই পরিসংখ্যান সর্বনিম্ন।
গত বছর এই এপ্রিলেই মনরেগা প্রকল্পে কাজ পেয়েছিলেন এক কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু এ বার কর্মসংস্থান যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওই প্রকল্পে কর্মসংস্থানে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে ১০ লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে মনরেগায়। তবে গত বার অন্ধ্রপ্রদেশে শুধু মাত্র এপ্রিলেই ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল। গুজরাতে ৬ হাজার ৩৭৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। কেরলে হয়েছে ২০১৪ জনের ও হরিয়ানায় হয়েছে ১ হাজার ৫ জনের। তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেও, এখনও গোয়া-সহ অনেক রাজ্য মনরেগা প্রকল্প শুরুই করতে পারেনি।
লকডাউনের ফলে সঙ্কটে পড়েছেন বহু মানুষ। ক্রমশই গ্রামীণ ক্ষেত্রে বাড়ছে কাজের চাহিদা। কিন্তু এত দিন ধরে সফল ভাবে চলা মনরেগা প্রকল্পে এ বার উল্টো ছবি দেখা গেল। গ্রামীণ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়ায়, বিভিন্ন মহল থেকে শ্রমিকদের হাতে অর্থ দেওয়ার দাবি ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। আমদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতির অধ্যাপক রীতিকা খেড়া বলছেন, ‘‘মনরেগার উপর নির্ভর করে থাকা শ্রমিকদের হাতে এই এপ্রিল মাসেই ১০ দিনের মজুরি দেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: বিরোধীরা ‘শকুন’! মমতার মন্তব্য তুলে ধরে ফের আক্রমণে ধনখড়
শ্রমিকদের হাতে অর্থ দেওয়ার দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে মজদুর কিসান শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি, এই লকডাউনের সময়ে দেশের ৭.৬ কোটি জব কার্ড হোল্ডারকে পূর্ণ সময়ের মজুরি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সব বন্ধ, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে স্থগিতাদেশ অপ্রয়োজনীয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy