Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বেতন নেই, কুয়োয় ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতী ৯, তেলঙ্গানায় মৃতদের মধ্যে ৬ বাঙালি

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তেলঙ্গানার এই ঘটনা গণ-আত্মহত্যা। দু’মাস ধরে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন পাননি এই শ্রমিকেরা।

কুয়ো থেকে তোলা হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই

কুয়ো থেকে তোলা হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ০৪:৫৪
Share: Save:

লকডাউনে দু’মাস বেতন না-পাওয়া শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার মিলিয়ে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হল তেলঙ্গানার গ্রামে এক কুয়ো থেকে। তাঁদের মধ্যে ছ’জন পশ্চিমবঙ্গের এবং একই পরিবারের। দু’জন বিহারের। এক জন ত্রিপুরার।

বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী কে সি রাও জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য ট্রেন-বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হেঁটে যেন কেউ বাড়ির পথ না-ধরেন। সে দিনই হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামে এই কুয়োটি থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার মেলে আরও পাঁচ জনের।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটা গণ-আত্মহত্যা। ঘরে ফিরতে পারছিলেন না। দু’মাস ধরে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন পাননি এই শ্রমিকেরা। কারও শরীরে আঘাতের চিহ্নও নেই। ফলে হত্যার ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। ঘরে ফিরতে না-পারা, আশ্রয় খোয়ানো এবং চরম আর্থিক সঙ্কট নিয়ে সকলেরই অবস্থা ছিল কোণঠাসা। পশ্চিমবঙ্গের মকসুদ আলম ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান। কারখানা লাগোয়ো দু’টি ঘরে সপরিবার থাকতেন তিনি। লকডাউনে বেতন বন্ধ হয়। খোয়ান আশ্রয়ও।

স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাঁদের। তারই কাছে এই কুয়োটি। যা থেকে মিলেছে মকসুদ, তাঁর স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের দেহ। ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চালাতেন। এ ছাড়া বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন। এঁরা সকলে একই কুয়োয় কী ভাবে মারা গেলেন, পুলিশ অন্ধকারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Telangana Suicide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy