Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

লকডাউন: মোটরবাইকে তামিলনাড়ু থেকে অসমে পৌঁছলেন দুই যুবক

পৌঁছেই তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসক ও পুলিশকে খবর দেন। আপাতত আছেন হোম কোয়রান্টিনে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৪:১৯
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ আটকাতে সতর্কতা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখনই আতঙ্কিত মানুষ তাঁদের অস্থায়ী আবাস ছেড়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ব্যতিক্রম নয় অসম ও উত্তর-পূর্বের মানুষও। দীর্ঘ পথ হেঁটে বা যে কোনও উপায়ে পাড়ি দিতেও তাঁরা কেউ পিছপা নন।

তামিলনাড়ুতে কাজ করত অসমের গোলাঘাটের দুই যুবক। ট্রেন-প্লেন বন্ধ থাকায় শেষ পর্যন্ত নিজেদের মোটরবাইকেই তাঁরা অসমের উদ্দেশে রওনা দেন। গতকাল পৌঁছেছেন নাওজানের বাড়িতে। পৌঁছেই তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসক ও পুলিশকে খবর দেন। আপাতত আছেন হোম কোয়রান্টিনে।

গুয়াহাটিতে ছেলের কাছে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন লখিমপুর জেলার লালুকের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সি খগেন বরুয়া। মঙ্গলবার কোনও মতে একটি বাসে নগাঁও জেলার কলিয়াবরে পৌঁছন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে আরও কোনও বাস পাননি। শুরু করেন হাঁটা। শতাধিক কিলোমিটার হেঁটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ চারিয়ালি জেলায় পৌঁছে তিনি আর পারেননি। পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। অসুস্থ বৃদ্ধকে স্থানীয় মানুষই নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তিনি জানান, পথে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সুস্থ হলে তাঁকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়া হয়। এর পর পুলিশ তাঁকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।

মিজোরামে কাজ করতে যাওয়া বরাকের বহু মানুষও গভীর জঙ্গল ও পাহাড় পার হয়ে হেঁটে বরাক উপত্যকায় ফিরছেন। বরাকের বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বন-পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সকলকে খুঁজে বের করে কোয়রান্টিনে পাঠাতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন শিল্প সংস্থা, বলিউড বা বিশিষ্টজনেরা যেমন এগিয়ে এসেছেন, এগিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষও। বিশ্বনাথ জেলার গোহপুরের কৃষক গঙ্গা কটকি তাঁর এক লপ্তে থাকা ২০ বিঘা জমি হাসপাতাল গড়ার জন্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। নগাঁওয়ের ব্যবসায়ী নিতুন গায়েন তাঁর মানিকানাধীন ‘বিবাহ ভবন’-টি কোয়রান্টিন সেন্টার হিসেবে সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন।

অন্য দিকে, অসম সরকার গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের পরে শিলচর মেডিক্যাল কলেজও খালি করে তা শুধুই করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য রোগীদের চিকিতসার জন্য রাজ্যের ২২টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে অসম সরকার। আজ শিলচরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড পাঁচটি হাসপাতালের একটি শিলচরে তৈরি করা হবে। সেখানে ৩০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি জানান, আশঙ্কা এখনও কাটেনি। তাই সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy