লকডাউনে জনশূন্য রাস্তা। প্রতীকী ছবি
আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ানোর আগেই তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা হয়েছে সারা দেশে। সেই লকডাউন সফল করতে রাস্তায় নেমে পুলিশ সক্রিয় হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভারত করোনার সংক্রমণ থেকে আগেভাগে মুক্তি পাবে, এমনই আশাপ্রকাশ করল চিন। নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাসের তরফে এক বিবৃতিতে এমনই আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত যে ভাবে করোনার লড়াইয়ে চিনের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেনি বেজিং। ভারতের লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বুধবার নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘চিনের সংস্থাগুলি ভারতে অনুদান দিতে শুরু করেছে। ভারত মনে করলে আমরা আরও সাধ্যমতো সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।’’
চিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩২৮৭ জনের। আক্রান্ত ৮১ হাজার ২৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৪ হাজার ৫১ জন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি করেছে চিন। কিন্তু ভয়াবহ মহামারির সময় ভারত চিনকে সাহায্য করেছিল। করোনার উৎসস্থল উহান বলেই মনে করা হয়। সেই উহানে মাস্ক, গ্রাভস-সহ ১৫ টন জরুরি মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: করোনা আপডেট: বিশ্বে মৃত ২১ হাজার, আমেরিকায় আক্রান্ত ৬০ হাজার, দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৬৫০
এই বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে জি রং এর বক্তব্য, ‘‘ভারত চিনকে মেডিক্যাল সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিল। তা ছাড়া নানা ভাবে ভারতের মানুষও চিনের যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছিল। তার জন্য ভারতবাসীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’’
সম্প্রতি এশিয়া ও ইউরোপের ২১টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছিল চিন। কী ভাবে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে চিন, সেই অভিজ্ঞতার কথা সব দেশের প্রতিনিধিদের জানিয়েছিলেন বেজিংয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে জি রং বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, ভারতীয়রা এই যুদ্ধে অনেক আগেই জয়লাভ করবে। ভারত ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে চিনও এই মহামারি রুখতে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। জি-২০, ব্রিকসের মতো সম্মেলনের মাধ্যমে করোনার মোকাবিলায় পারস্পারিক সাহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। বিশ্বের সামনে করোনার মতো যে চ্যালেঞ্জ আসবে, এক হয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’’
আরও পড়ুন: প্রতি শীতেই ছড়াবে করোনাভাইরাস? উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন যাই থাক, বিশ্ব জোড়া মহামারির সময়ে চিনের এই বার্তা ইতিবাচক ও সদর্থক। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লির চিনকে সাহায্য করা এবং একই ভাবে বেজিংয়েরও ভারতের পাশে দাঁড়ানোর এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ বাতাবরণ ভবিষ্যতে কূটনৈতিক সম্পর্কেও ছাপ ফেলবে বলেও মত কূটনৈতিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy