Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

আমেরিকা থেকে ফিরে কোয়রান্টিন উপেক্ষা করে পার্টি, দলীয় বৈঠকে তেলঙ্গানার বিধায়ক!

তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) বিধায়ক কোনেরু কোনাপ্পা এবং তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবার ফিরেছেন আমেরিকা থেকে।

কাগজনগর স্টেশনে তেলেঙ্গনার বিধায়ক কোনেরু কোনাপ্পা। ছবি: সৌজন্য় টুইটার।

কাগজনগর স্টেশনে তেলেঙ্গনার বিধায়ক কোনেরু কোনাপ্পা। ছবি: সৌজন্য় টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ১৭:১৫
Share: Save:

গায়িকা কণিকা কপূরের দেহে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মেলা সত্ত্বেও কোয়রান্টিনে না গিয়ে পার্টিতে যান। যা নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে গোটা দেশে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এ বার বিদেশফেরত এক বিধায়ক কোয়রান্টিন উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন, দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকও করলেন। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় কোয়রান্টিনে যাওয়ার জন্য বার বার আবেদন জানাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলো। তার পরেও ওই বিধায়ক এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ কী ভাবে করলেন তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) বিধায়ক কোনেরু কোনাপ্পা এবং তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবার ফিরেছেন আমেরিকা থেকে। স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে থাকবেন বলে সে দিনই তাঁরা লিখিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর দিনই তেলঙ্গানা এক্সপ্রেসে চেপে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে কাগজনগরে যান। স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতেও দেখা যায় ওই বিধায়ককে।

গত ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে ফেরেন কণিকা কপূর। ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই পার্টিতে বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং তাঁর পুত্র সাংসদ দুষন্ত সিংহ-ও। বসুন্ধরা-দুষন্ত ছাড়াও ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংহ, গজেন্দ্র শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘাওয়াল, কৈলাস চৌধুরি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, হেমা মালিনী, রীতা বহুগুণা, সাক্ষী মহারাজ প্রমুখ। এই ঘটনার জন্য শনিবার কণিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে লখনউ পুলিশ।

আরও পড়ুন: কাল ‘জনতা কার্ফু’, ট্রেন-বাস-মেট্রো পরিষেবা কেমন থাকবে? দেখে নিন

আরও পড়ুন: করোনা আজ নয় কাল চলে যাবে, কিন্তু তার পর কী হবে?

ইতিমধ্যেই দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮। মৃত্যু হয়েছে চার জনের। সংক্রমণ এড়াতে মুম্বই ‘শাট ডাউন’ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দিল্লিতে শপিং মলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লখনউতেও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সংক্রমণ যাতে বিপজ্জনক মাত্রায় না পৌঁছয় তার জন্য রবিবার ‘জনতা কার্ফু’র ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারগুলো কোমর বেঁধে সংক্রমণ আটকানোর কাজ করছে। গোটা দেশে যখন সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে, সেই পরিস্থিতিতে তেলঙ্গানার বিধায়ক, কণিকা কপূরের মতো ব্যক্তিত্ব কী ভাবে কোয়রান্টিন উপেক্ষা করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy