প্রতীকী ছবি।
কোভিড টিকা নেওয়ার পর এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মানহানির মামলা করল সিরাম।
রবিবার সন্ধ্যায় পুণের ওই সংস্থার দাবি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ পুরোপুরি ‘বিদ্বেষমূলক এবং ভুল ধারণার বশবর্তী’ হয়ে করা। ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার প্রতি সহানুভূতি রয়েছে বলে জানালেও তা যে টিকাগ্রহণের জন্য হয়নি, সে দাবিও করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (সিআইআই)। সিরাম কর্তৃপক্ষের মতে, “চেন্নাইয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের একেবারেই সম্পর্ক নেই।”
৪০ বছর বয়সি ওই স্বেচ্ছাসেবকের দাবি, ১ অক্টোবর চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ‘কোভিশিল্ডে’র ডোজ নেওয়ার পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় ওই টিকার তৃতীয় ট্রায়ালের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। পেশায় বিজনেস কনসালটেন্ট ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, টিকার ডোজ নেওয়ার পর ২৬ অক্টোবর হাসপাতাল ছাড়া পান তিনি। তাঁর দাবি, এর পর থেকেই তাঁর গুরুতর স্নায়বিক সমস্যা শুরু হয়। প্রবল মাথাব্যথা, আলো-শব্দের প্রভাবে বিরক্তি-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি, কাউকে চিনতে বা কথাও বলতে পারছিলেন না বলে দাবি করেন ওই স্বেচ্ছাসেবক। এর পর ২১ নভেম্বর সিরাম-সহ একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে ৫ কোটির টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা রুজু করেন তিনি। তাঁর আইনজীবীর তরফে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র সিইও, চেন্নাইয়ের ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-সহ একাধিক সংস্থাকে নোটিশ পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কমবয়সিদের উৎকণ্ঠাজনিত সমস্যা দ্বিগুণ, দাবি সমীক্ষায়
আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে নতুন করে তিনটি কন্টেনমেন্ট জোন কলকাতায়, জানাল রাজ্য
আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি অবিলম্বে ‘কোভিশিল্ডে’র ট্রায়াল, উৎপাদন বন্ধ করারও দাবি জানান ওই স্বেচ্ছাসেবক। তবে এ সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে ‘কোভিশিল্ডে’র উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম। তাঁদের পাল্টা দাবি, “নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনছেন ওই স্বেচ্ছাসেবক।” সিরামের আরও দাবি, “চেন্নাইয়ের ওই ব্যক্তির অভিযোগ বিদ্বেষপূর্ণ। কারণ ট্রায়ালের আগেই তাঁকে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছিল যে সমস্ত শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছেন, তার সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি জেনেও ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এর পর সংস্থার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy