সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ‘স্পুটনিক-ভি’-র কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত।
এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসেই বা মার্চে রাশিয়ার কোভিড প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক-ভি’-কে অনুমোদন দিতে পারে ভারত। বুধবার এ দাবি করলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওই প্রতিষেধকের মার্কেটিং সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর প্রধান কিরিল দিনিত্রেভ।
‘‘স্পুটনিক-ভি’-র মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি তা তৈরির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে কিরিলের সংস্থা। বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে একটি সাক্ষাৎকারের কিরিল বলেন, “প্রতিষেধক উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ভারত। আশা করছি যে সীমিত সংখ্যায় হলেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে ‘স্পুটনিক-ভি’-র বরাত পাওয়া যাবে। এবং চলতি মাসে বা মার্চেই তা পাওয়া যেতে পারে। তার পর আমাদের কোভিড প্রতিষেধক ভারতে পাঠানো শুরু করতে পারব।”
সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ‘স্পুটনিক-ভি’-র কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ। ওই জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ‘স্পুটনিক-ভি’-র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২০ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারীর দেহে পরীক্ষার পর এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের উল্লেখ করে কিরিল বলেন, “ স্পুটনিক-ভি-সহ বিশ্বে কেবলমাত্র ৩টি প্রতিষেধকের ৯০ শতাংশের বেশি প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। ল্যানসেটে প্রকাশিত পরিসংখ্যানই এ কথা বলছে।” তাঁর দাবি, “করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে এই প্রতিষেধক। তা ছাড়া, মাত্র ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একে সংরক্ষণ করা যায়। পাশাপাশি, দামের নিরিখেও এটি বেশ সস্তা। ‘স্পুটনিক-ভি’ হল আম জনতার প্রতিষেধক।”
গত বছরের অগস্টে কোভিডের প্রথম প্রতিষেধক আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করে গামালেয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং কিরিলের সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। ওই উদ্যোগে সহায়তা করেছে সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদানে অন্যান্য টিকার তুলনায় ‘স্পুটনিক-ভি’ বেশি কার্যকর বলে দাবি করেছেন রুশ গবেষকরা। মানবদেহের দু’টি ভিন্ন অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টরের সাহায্যে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এটি। কিরিল বলেন, “এ ধরনের সুরক্ষা থাকায় অন্যান্য টিকার থেকে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে ‘স্পুটনিক-ভি’। কারণ অন্য টিকায় দু’টি ডোজেই একই উপাদান ব্যবহার করা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy