প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রথম ধাক্কায় তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। দেশের যে ৭৩টি জেলায় সংক্রমণ ১০ শতাংশের বেশি তার মধ্যে ৪৭টি হল উত্তর-পূর্বে। সবচেয়ে উপরে অরুণাচল। ওই রাজ্যে ১৮টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসছে। কিন্তু কেন্দ্রের দুশ্চিন্তা অন্তত ৯০টি জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে। দেখা যাচ্ছে, দেশের ৮০ শতাংশ নতুন সংক্রমণ ওই জেলাগুলিতে। যার মধ্যে ৭৩ জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। যাদের মধ্যে আবার অর্ধেকের বেশি জেলাই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, উত্তর-পূর্বে সংক্রমণের ছবিটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। অথচ, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে সেই অর্থে সংক্রমণ দেখা যায়নি দেশের উত্তর-পূর্বাংশে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কায় দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ ক্রমশ উত্তর-পূর্বের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও ছড়িয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর প্রধান বলরাম ভার্গব আজ বলেন, ‘‘দেশে যখন সংক্রমণ ক্রমশ কমেছে তখন উত্তর –পূর্বের পরিস্থিতি বেশ চিন্তার। বিশেষ করে অরুণাচল, মণিপুর, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ এখনও ছড়াচ্ছে।’’ করোনা ছড়াচ্ছে সিকিমেও।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দ্রুত দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে না-পারলে ওই জেলাগুলিতে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
তুলনামূলক ভাবে অবশ্য পরিস্থিতি ভাল অসম ও মিজোরামের। অসমের দুটি ও মিজোরামের একটি জেলায় সংক্রমণ ১০ শতাংশের উপরে। ত্রিপুরার চারটি জেলায় এখনও ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ। ভার্গব বলেন, ‘‘যেখানে সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে প্রশাসনকে কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করে সংক্রমণকে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বেঁধে ফেলতে হবে। বাড়াতে হবে পরীক্ষা। পরবর্তী ধাপে সংক্রমণকে পাঁচ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনাই হবে রাজ্য সরকারগুলির লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy