ফাইল চিত্র।
করোনা প্রতিরোধী ওষুধ ও অন্য সরঞ্জাম মজুতের অভিযোগে সম্প্রতি যুব কংগ্রেস নেতা বি ভি শ্রীনিবাস, বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর এবং আরও সাত নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ। এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় দিল্লি হাই কোর্টে। সেই মামলায় আজ হাই কোর্ট জানিয়েছে, করোনার ওষুধ এবং অন্য সামগ্রী রাজনৈতিক নেতারা মজুত করে রাখতে পারবেন না। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে যাবতীয় ওষুধ ও অন্য সামগ্রী তাঁদের তুলে দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের তোলা অভিযোগ অস্পষ্ট বলেও জানিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি জসমীত সিংহ পুলিশের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সুষ্পষ্ট অভিযোগ তুলে ধরতে হবে। কোনও নেতা যদি বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করতে চান, সে ক্ষেত্রে দেখা প্রয়োজন তিনি কোথা থেকে তা জোগাড় করছেন? বিশেষত, ওষুধের জোগান যেখানে কম। সঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, ওষুধ মজুত এবং বিলিবণ্টণের জন্য ওই নেতাদের কোনও লাইসেন্স রয়েছে কি? আদালত আরও জানিয়েছে, ওষুধ ও অন্য সামগ্রী যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য নয়, মানুষের সেবার উদ্দেশেই বিলি করা হচ্ছিল, সে ক্ষেত্রে মজুত সমস্ত সামগ্রী দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে সমর্পণ করা উচিত।
পুলিশের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, ওষুধ বিক্রেতারা কী ভাবে বিপুল পরিমাণ সামগ্রী রাজনৈতিক নেতাদের জোগান দিয়েছেন?
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি রাজেশ দেও আদালতে জানিয়েছেন, স্ট্যাটাস রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক।
আজই আদালতে পেশ করা রিপোর্টে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যে ৯ জনের বিরুদ্ধে মজুত এবং কালোবাজারির অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। মানুষকে সাহায্যের জন্যেই যাবতীয় সরঞ্জাম নিজেদের কাছে রেখেছিলেন ওই নেতারা। কোনও রকম অর্থ ছাড়াই ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, শয্যার বন্দোবস্ত করেছিলেন ওই ৯ জন। সাহায্যের ক্ষেত্রেও কোনও ভেদাভেদ করা হয়নি।
তবে পুলিশি প্রশ্নের মুখে কোভিড ত্রাতাদের পড়তে হওয়ায় ইতিমধ্যেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ। নেটিজ়েনদের অভিযোগ, করোনা-কালে যাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের হেনস্থা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy