গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গত কাল রাতেই ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার্স’-এর আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেশে সংক্রমণ ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছিল। আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০,২০,৩৫৯।
কয়েক দিন আগেও দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ। মন্ত্রকের হিসেবে, মাত্র ১১ দিনে সংক্রমণ বেড়েছে ১০ লক্ষেরও বেশি। দেশে প্রতি দশ লক্ষ সংক্রমণে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার।
এ দেশে সংক্রমণের গতিবিধি লক্ষ করলে দেখা যাবে, আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ হতে সময় লেগেছিল ২১ দিন। আরও ১৬ দিনে তা পৌঁছয় ৩০ লক্ষে। তার পরের ১৩ দিনে সংক্রমণ ছুঁয়েছে ৪০ লক্ষ। আর এ বার সব রেকর্ড ভেঙে মাত্র ১১ দিনেই আধ কোটি পার।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
বুধবার রেকর্ড গড়েছে এক দিনে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৯০ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৫১৫ জন, কর্নাটকে ২১৬, উত্তরপ্রদেশে ১১৩, পঞ্জাবে ৯০, অন্ধ্রপ্রদেশে ৬৯, ৬৮ তামিলনাড়ুতে ৬৮ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৫৯ এবং দিল্লিতে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৮২,০৬৬। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে ৭০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। মোট মৃতের সংখ্যা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)—এর সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েই প্রকাশ হয়েছে বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে এই দুই সূত্রে প্রকাশিত রাজ্য-ভিত্তিক মৃতের সংখ্যায় এখনও ফারাক রয়েছে বলে মেনে নিয়েছে তারা।
আশার কথা বুধবার এক লাফে বেড়েছে সুস্থের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮২,৯৬১। যার মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশ পাঁচ রাজ্যের বাসিন্দা। শুধু মহারাষ্ট্রেই ২৩.৪১ শতাংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু মিলিয়ে মোট ৩৫.৫ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। মন্ত্রকের হিসেবে, গত সাত দিনে সুস্থতার হার একটানা বেড়েছে। যা আশাপ্রদ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নিতিন গডকড়ী, টুইট করে জানালেন নিজেই
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় চার্জশিট পুলিশের, ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে নেই উমর, শরজিলের নাম
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy