জেইই মেন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্রিনিং। বুধবার জালন্ধরে। পিটিআই
দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা গত কাল ৭০ হাজারের নীচে নামলেও আজ তা ফের ৭৮ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরাই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত। মৃত্যুহার বেশি ষাটোর্ধ্বদের। সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার সবচেয়ে কম শিশু ও কিশোরদের। করোনায় দেশে সার্বিক মৃত্যুহার কমে হয়েছে ১.৭৬ %।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ হাজার ৩৫৭ জন নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আনলক পর্বে তরুণ ও যুবকেরাই বেশি করে সংক্রমিত হচ্ছেন। মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২৬ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ। সংক্রমণের হার ১৪ শতাংশ— ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে। অর্থাৎ দেশে করোনা সংক্রমিতের অর্ধেকের বেশি হলেন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরা। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘কাজের প্রয়োজনে এই বয়সিদের বেশি বাইরে বার হতে হচ্ছে, তাই তাঁরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন।’’ ৪৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে সংক্রমিতের হার ২৬ শতাংশ এবং প্রবীণদের ক্ষেত্রে এই হার ১২ শতাংশ। সংক্রমিতের ৮ শতাংশ ১৭ বছরের নীচে শিশু-কিশোর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৪৫ জন করোনায় মারা গিয়েছেন। ফলে দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় যত জন মারা গিয়েছেন তার ৫১ শতাংশ প্রবীণ। তাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবীণদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবিটিসের মতো রোগ বেশি থাকে বলেই তাঁদের মৃত্যু হার বেশি। ৪৫-৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে মৃত্যু হার ৩৬%। কিশোরদের ১%।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নেমার-দি মারিয়া-লিয়ান্দ্রো
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে দেশের রাজধানীতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আনলক পর্বে দিল্লিতে জনসমাগম বাড়ছে, তাই সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক দেশ দীপক বলেন, ‘‘সরকার ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। লকডাউনে যাঁরা চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসছেন। ফলে সংক্রমণ কিছুটা বাড়ছে।’’ রাজীব গাঁধী সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি এল শেরওয়ালেরও একই মত।
আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতা বেশি, সংক্রমণের হার ৬.৭৫ শতাংশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কী ভাবে পরীক্ষা নেবে আজ তার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে পরীক্ষা কক্ষে দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক পরা ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত স্যানিটাইজ় করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা যে গেট দিয়ে ঢুকবেন ও বার হবেন, সেখানে যেন ভিড় না-হয়। কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে পরীক্ষাকেন্দ্র হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময়ে সকলকে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। কেউ যদি তা জানাতে রাজি না হন, তা হলে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষার্থীরা কী কী সামগ্রী নিয়ে কক্ষে ঢুকবেন, তা জানাতে হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও যানে করে যদি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়, তা হলে সেই যান স্যানিটাইজ় করা বাধ্যতামূলক। পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাগ, বই ও মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। পরীক্ষা শুরু আগে পরীক্ষা কক্ষগুলি ভাল করে স্যানিটাইজ় করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy