ছবি পিটিআই।
আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছিল গত কালই। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও জানিয়ে দিল, ছ’লাখের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে ভারত।
চার লক্ষ থেকে বেড়ে পাঁচ লক্ষ সংক্রমণ হয়েছিল আট দিনে। পাঁচ থেকে ছ’লক্ষের ব্যবধানটা মাত্র পাঁচ দিন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা ১৯,১৪৮, মৃত্যু ৪৩৪। যে-হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে মোট আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়াকে ছাপিয়ে ভারত কবে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে, জোরালো হচ্ছে সেই চর্চাই।
বৃহস্পতিবার রাতে গৃহ-নিভৃতবাস সংক্রান্ত পরিবর্তিত নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে— এইচআইভি সংক্রমিত, ক্যানসার রোগী, কিডনি বা হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপিত হয়েছে, এমন মানুষেরা যদি করোনা-আক্রান্ত হন, তাঁদের কোনও ভাবেই বাড়িতে কোয়রান্টিনে রাখা যাবে না। এতে প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। কোনও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হার্টের সমস্যা, ফুসফুস, লিভার বা কিডনির জটিল সমস্যা থাকে, তিনি করোনা- আক্রান্ত হলে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে পারবেন। বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকার পরে যদি ৩ দিন জ্বর না-আসে এবং ১০ দিন কোনও উপসর্গ না-থাকে, তা হলে তাঁকে সুস্থ হিসেবে ধরা যেতে পারে। কিন্তু নজরে রাখতে হবে। গৃহ-নিভৃতবাস থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে নতুন করে আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়াও, সমস্ত রাজ্যকে আজ কেন্দ্র ফের চিঠি দিয়ে বলেছে, সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের মৃত্যু হলে তাঁদের দেহ অবিলম্বে পরিজনদের হাতে তুলে দিতে হবে। করোনা পরীক্ষার নিশ্চিত রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা চলবে না। তবে সুরক্ষাবিধি মেনেই শেষকৃত্য করতে হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড গবেষণায় তত্ত্ব আধিক্যই মূল চ্যালেঞ্জ?
দিল্লিতে আজ দেশের প্রথম প্লাজ়মা ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ‘ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেস হসপিটাল’-এর তৈরি ওই প্লাজ়মা ব্যাঙ্ক থেকে দিল্লির কোভিড হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে প্লাজ়মা। দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও। মণীশ আগে বলেছিলেন, জুলাই মাসের শেষে দিল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৫ লক্ষ হয়ে যাবে। তাঁর সঙ্গে একমত হননি অমিত শাহ। আজ মণীশ বলেন, ‘‘ভারত সরকারের পোর্টালে সম্ভাব্য যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে, আমি সেটাই বলেছিলাম।’’
আরও পড়ুন: কোভিড যে বিপজ্জনক, তা বোঝার জন্য পরিসংখ্যানের যুক্তিজাল বোনা অদরকারি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy