Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

অক্সিজেন কম কেন, কোর্টের তোপে কেন্দ্র

দিল্লির দুটি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

দিল্লি হাই কোর্ট।

দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৫০
Share: Save:

মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র চাহিদার তুলনায় কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি অক্সিজেন পাচ্ছে। কিন্তু দেশের রাজধানী দিল্লিতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার সত্বেও চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন মিলছে না। কেন্দ্র যতটুকু বরাদ্দ করছে, তার থেকেও অক্সিজেন কম মিলছে। এ নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদী সরকার। হাই কোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি ও বিচারপতি রেখা পাল্লির বেঞ্চের বক্তব্য, অন্য রাজ্যকে বঞ্চিত করে অক্সিজেন দিতে বলা হচ্ছে না। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র কী ভাবে চাহিদার তুলনায় বেশি অক্সিজেন পাচ্ছে, তার ব্যাখ্যা কেন্দ্রকে দিতে হবে।

দিল্লির দুটি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বহু হাসপাতালেই নিয়মিত অক্সিজেনের টানাটানি পড়ছে। অনেক হাসপাতালে রোগীকেই সঙ্গে করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে যেতে হচ্ছে। সিলিন্ডার ফুরিয়ে গেলে অক্সিজেন ভরানোর জন্যও দীর্ঘ লাইন পড়ছে। কেন্দ্র দিল্লির জন্য দৈনিক ৪৮০ টন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছে। কিন্তু মিলছে ৩৪০-৩৭০ টন। অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের বক্তব্য, কোভিড রোগীদের জন্য বেড বাড়ানো হচ্ছে। ফলে চাহিদা ৭০০ টনে পৌঁছবে। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দিয়েছেন, দিল্লির জন্য ৩৪০-৩৭০ টনই যথেষ্ট। কিন্তু হাই কোর্ট তা মানতে চায়নি।

তোপের মুখে পড়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানির মধ্যেই কেন্দ্রের আধিকারিকদের বলেছেন, তাঁরা যেন মধ্যপ্রদেশের বরাদ্দ কমিয়ে দিল্লির জন্য অক্সিজেন বরাদ্দ করেন। তাতে যদি মধ্যপ্রদেশে কারও প্রাণ সংশয় হয়, হোক। হাই কোর্টের বিচারপতিরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অন্য রাজ্যকে বঞ্চিত করতে বলা হচ্ছে, এ ভাবে যেন দেখানো না হয়। মেহতা বিচারপতিদের আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরা যেন আতঙ্ক না ছড়ান। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আদালতে কী বলা হচ্ছে, তার উপরে আতঙ্ক তৈরি হবে না। বাস্তবের পরিস্থিতির ভিত্তিতেই আতঙ্ক ছড়াবে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের জীবন খোয়া গিয়েছে। কেন্দ্রকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই হবে। কেন্দ্রেরই দায়িত্ব সমাধান করার।’’

অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারের উপরেও অবশ্য দিল্লির মানুষের একাংশের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। হাই কোর্টে আজ দিল্লি সরকারের কাজের প্রচারে বিজ্ঞাপন বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে, তার কতটা খরচ হয়েছে, মামলায় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল আজ জানিয়েছেন, সরকার বড় মাপের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করছে। আগামী তিন মাসে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে টিকাকরণ করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi High Court Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE