গ্রাফিক: শোভিক দেবনাথ।
গোটা বিশ্বের সংক্রমণ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। গত দু’সপ্তাহে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লক্ষ। তবু আশার কথা শোনাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছে, ভারতে সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে এখন প্রায় ৭৫ শতাংশ। মৃত্যুহার নেমে এসেছে ১.৮৬ শতাংশে।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে ভারতে। ছবিটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে— মোট সংক্রমিতের সংখ্যার মধ্যে মাত্র ২৩.২৪ শতাংশ অ্যাক্টিভ রোগী। যার জেরে দেশে মৃত্যুহারও ক্রমশ কমছে। বর্তমানে ১.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে তা।
মৃত্যুহার একেবারে কম, এমন দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত। এক দিনে যেমন ৬০ হাজারের উপরে সংক্রমিত হচ্ছেন, তেমন সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে ৫৭,৯৮৯ রোগী সুস্থ হওয়ার নজির রয়েছে তাদের কাছে। দেশে মোট করোনা-মুক্ত হওয়ার সংখ্যা ২২ লক্ষ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট অ্যাক্টিভ রোগীর থেকে যা বহু লক্ষ বেশি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য অসমের কুর্সি! সম্ভাবনা ওড়ালেন রঞ্জন
আরও পড়ুন: মোদীর ‘মিত্র’ ময়ূর, কেউ মুগ্ধ, কারও কটাক্ষ
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
সুস্থ হওয়ার মাত্রা বেড়ে ৭৪.৯০ শতাংশ হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ‘‘একটানা ঊর্ধ্বমুখী।’’ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দৈনিক সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫,০১৮। ১৩ অগস্ট থেকে ১৯ অগস্ট পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৬০,৫৫৭ জন। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘‘লাগাতার করোনা-পরীক্ষার জন্যই এক দিকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুহার কমছে।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, টানা ছ’দিন রোজ আট লাখের উপরে টেস্ট করানো হয়েছে। দেশে মোট করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩.৫২ কোটি ছুঁয়েছে। দৈনিক পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার সংখ্যা অগস্টের প্রথম সপ্তাহে কমে গিয়ে ৯.৬৭ শতাংশ হয়েছিল। গত সপ্তাহে আরও কমে ৭.৬৭ শতাংশ হয়েছে। বর্তমানে সরকারের নীতিই হল— ‘টেস্ট, ট্র্যাক এবং ট্রিট’। অর্থাৎ পরীক্ষা করানো, রোগীকে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা। দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিগুলো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। দেশে সরকারি ল্যাব ৯৮৩। বেসরকারি ল্যাব রয়েছে ৫৩২টি। মোট ১৫১৫ ল্যাবে লাগাতার করোনা-পরীক্ষা চলছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কালই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার্স ঘোষণা করেছিল, ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আজ সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হল সংখ্যাটা। ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৯১২। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬,৭০৬। গোড়ার দিকে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছতে ১১০ দিন সময় লেগেছিল। সেখানে ১০ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৫৯ দিন। তবে সরকার মনে করিয়ে দিচ্ছে, সংক্রমণ যেমন ঊর্ধ্বমুখী, সুস্থ হওয়ার হারও তেমন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy