ছবি: সংগৃহীত।
জনতা-কার্ফুর মধ্যেই গত কাল কাঁসর-ঘণ্টা নিয়ে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন উত্তপ্রদেশের পিলিভিটের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের যুক্তি, পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলাশাসক আমজনতাকে সচেতন করতেই ওই সময় রাস্তায় ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত কাল ‘জনতা-কার্ফু’তে সাড়া দিয়েছে দেশ। তিনি আবেদন করেছিলেন, থালা, ঘণ্টা বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যেন দেশবাসী অভিনন্দন জানান। সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা— সকলেই সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে আবার রাস্তায় নেমে মিছিলও করেছিলেন। তেমনই একটি মিছিলে দেখা গিয়েছে পিলিভিটের জেলাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব এবং পুলিশ সুপার অভিষেক দীক্ষিতকে। জেলাশাসক একটি স্টিলের প্লেট বাজাচ্ছিলেন ও পুলিশ সুপার বাজাচ্ছিলেন শঙ্খ। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দরজা, জানালার সামনে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে, থালা-ঘণ্টা বাজিয়ে অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানাতে। পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের মতো সরকারি আধিকারিকেরা কী ভাবে তা অমান্য করলেন? যেখানে করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে তাঁরা কেন মিছিলে গেলেন? এ প্রশ্ন তুলেছেন পিলিভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীও।
তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার। জেলা পুলিশের যুক্তি, ‘‘জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার কার্ফু ভাঙার কোনও চেষ্টা করেননি। কিছু লোক ওই সময় রাস্তায় নেমে পড়ছিলেন। তাঁদের বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন ওই দুই শীর্ষ আধিকারিক। একপেশে খবর প্রচার হচ্ছে।’’ একই যুক্তি শোনা গিয়েছে জেলাশাসকের কথায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, ‘‘থালা, ঘণ্টা বাজিয়ে এবং হাততালি দিয়ে অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের প্রতি সংহতি জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কাল বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলাম, তাঁরা যেন ওই কাজ বাড়িতে থেকে করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy