চিন থেকে আসা কিট বাতিল হল। ছবি: পিটিআই।
চিন থেকে আসা র্যাপিড টেস্ট কিটের বরাত বাতিল করল ভারত। প্রাথমিক কিছু উপসর্গ দেখেই যাতে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়, তার জন্য গত ২৭ মার্চ ৫ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিটের বরাত দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তা এসে পৌঁছনোর পর দেখা যায়, বেশির ভাগ কিটই ঠিক মতো কাজ করছে না। তাতেই অর্ডার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আগে ভাগে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়নি বলে, লোকসানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
গুয়াংঝৌ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুহাই লিভজন ডায়াগনস্টিকস নামের দুই চিনা সংস্থা ওই কিটগুলি তৈরি করেছিল। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরীক্ষায় সেগুলিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। আইসিএমআর-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘‘নিয়ম মেনে এগনো হয়েছিল, আগে ভাগে কোনও টাকা মেটানো হয়নি, তাই একটা টাকাও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’ কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় রাজ্যগুলিকেও তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর।
চিনের থেকে বেশি দাম দিয়ে ওই কিটগুলি কেনা নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক তৈরি চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়। তা থেকে জানা যায়, চিনের কাছ থেকে ২৪৫ টাকা দরে প্রতিটি কিট কিনলেও ভারত সরকারকে তা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করে কিট আমদানিকারী সংস্থা ম্যাট্রিক্স। সেই বিতর্কের মধ্যেই কিটের অর্ডার বাতিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে এও জানা গেল যে, কিট কিনতে এখনও পর্যন্ত একটি টাকাও খরচ করেনি ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: রেড-অরেঞ্জ-গ্রিন জোনে ভাগ করে রাজ্যে ২১মে পর্যন্ত লকডাউন প্রস্তুতি
আরও পড়ুন: হটস্পটে একই রকম কড়াকড়ি, বললেন মোদী, বাকি সিদ্ধান্ত পরে
এর আগে, চিন থেকে পাঠানো করোনা টেস্ট কিটের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ব্রিটেনও। স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র, জর্জিয়া, তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডস থেকেও একই অভিযোগ সামনে আসে। চিন থেকে আসা কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলির মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সঠিক জানা যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি অভিযোগ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান সরকারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy