অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।
সোমবার সীমানা খুলে দেওয়া হবে, তবে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি সংরক্ষিত থাকবে শুধুমাত্র রাজধানীর নাগরিকদের জন্যই। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একবার ফের তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এ নিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিবাসীর মতামত জানতে চেয়েছিলেন কেজরীবাল। তাতে ৯০ শতাংশের সমর্থন পাওয়ার পরই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্ রাজ্য থেকে মানুষ দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে এলে, স্থানীয়রা সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন না, এই যুক্তি দেখিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লির সীমানা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন কেজরীবাল। আগামী কাল তা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এ দিন কেজরীবাল বলেন, ‘‘দিল্লি সরকারের হাতে যে ১০ হাজার বেড রয়েছে, তা স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে যে সমস্ত বেড রয়েছে, সেগুলি সকলের জন্য।’’
এই মুহূর্তে রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে জুনের শেষ নাগাদ ১৫ হাজার বেডের প্রয়োজন পড়তে পারে দিল্লিতে। সেই কারণে দিল্লিবাসীর জন্য বেড সংরক্ষিত করে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন পাঁচ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত দিল্লি সরকারের বিশেষ কমিটি। সেই নিয়ে গত কয়েকদিনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর সরকার। কিন্তু কেজরীবালের যুক্তি, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে ন’হাজার বেড রয়েছে। ভিন্ রাজ্যের রোগীদের ভর্তি নিলে, তিন দিনেই তা ভরে যাবে।’’
আরও পড়ুন: এনআইএ হেফাজতে করোনায় আক্রান্ত আইএস জঙ্গি নেত্রী, কোয়রান্টিনে তদন্তকারী দল
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজ খুলছে অগস্টের পর, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোখরিয়াল
এত কিছুর পরেও দিল্লিতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল। তবে তার জন্য ল্যাবরেটরিগুলিকেই দুষেছিলেন কেজরীবাল। উপসর্গহীন রোগীদের দেদার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেই হাসপাতালগুলি ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের বেড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy