মেঘালয়ে আগামী বছরের প্রথম দিকেই ভোট। প্রতীকী ছবি।
অসম পুলিশের তরফে খ্রিস্টানদের ধর্মান্তরণ নিয়ে এসপিদের উদ্দেশে জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্কের ঢেউ পাশের রাজ্য মেঘালয়েও লাগল। মেঘালয়ে আগামী বছরের প্রথম দিকেই ভোট। ভোটের আগেই অসমে বিজেপি সরকারের খ্রিস্টান ধর্মবিরোধী মনোভাবকে হাতিয়ার করল প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। দলের মুখ্য সচেতক জর্জ বি লিংডো বলেন, ‘‘শুধু অসম নয়, খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধে বিজেপির এই চরবৃত্তি ও বিদ্বেষী মনোভাব বড়দিনের আগে গোটা দেশের খ্রিস্টানদের জন্য উপহার।’’ তাঁর মতে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গোটা দেশেই খ্রিস্টানদের উপরে বিভিন্ন অত্যাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে। উত্তর-পূর্বে তারা সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুত্বের কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই খ্রিস্টধর্মের প্রসার রুখতে পুলিশ-প্রশাসনকেও কাজে লাগাচ্ছে তারা।
মেঘালয়ে বিজেপির উত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে জর্জ বলেন, “পাঁচ বছর এনপিপির হাত ধরে ক্ষমতায় থেকে, তিন সাংসদকে সামনে রেখে ও এখন অন্য দল ভাঙিয়ে কয়েক জন বিধায়ককে দলে টেনে তারা দেখাতে চাইছে যে মেঘালয়েও তাদের জনপ্রিয়তা প্রবল। কিন্তু আদতে তাদের অ-ধর্মনিরপেক্ষ, বিভাজনকারী চেহারা লুকোনো সম্ভব নয়।”
এ দিকে অসমের ঘটনা নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় আপ্রাণ সচেষ্ট মেঘালয় বিজেপি। দলের বিধায়ক এ এল হেক জানান, তিনি ঘটনাটি জানার পরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই চিঠির সঙ্গে বিজেপি সরকারের কোনও যোগ নেই। বিজেপি মোটেই কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। হেকের দাবি, ওই ধরনের চিঠি যে হেতু এসপি পর্যায়ে পাঠানো হয় না, তাই ওই চিঠির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, “সামনেই ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ে নির্বাচন রয়েছে। ২০১৮ সালেও দেখেছি ভোটের আগে এমন অনেক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো ভিডিয়ো, ছবি, তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। এটাও তেমনই কিছু হতে পারে।” তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলের মুখপাত্র হওয়া এইচ এম সাংপ্লিয়াং বলেন, “অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিস্মিত। তিনি ঘটনাটি নিয়ে ডিজিপিকে তদন্ত করতে বলেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy