বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি-এপি।
বিতর্কে জড়ালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের দূত হিসাবে সফরে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক এড়িয়ে যাওয়াটা তাঁর উচিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকে আঙুল ওঠার জন্য কেন ওই বৈঠক এড়িয়ে গেলেন জয়শঙ্কর, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে। কাজটা যথাযথ হয়নি বলে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও।
জবাবে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে যেটা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে যে চোখে দেখা হয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।’’
এ সপ্তাহে তাঁর আমেরিকা সফরের সময় মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সেই প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের হাউস বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট এঞ্জেল, মাইকেল ম্যাককল, প্রমীলা জয়পাল-সহ বহু রিপাবলিকান সদস্য।
The cancellation of this meeting was deeply disturbing.
— Rep. Pramila Jayapal (@RepJayapal) December 19, 2019
It only furthers the idea that the Indian government isn’t willing to listen to any dissent at all. https://t.co/EMeqIr05VJ
জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদে প্রমীলা কয়েক দিন আগেই একটি প্রস্তাব এনেছেন মার্কিন কংগ্রেসে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, টানা ১৩৪ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে মোদী সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে চলেছেন। অবিলম্বে সেই পরিষেবা চালুরও দাবি জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের প্রধান এলিয়ট এঞ্জেলকে জানিয়েছিলেন, প্রমীলা না থাকলে তিনি বৈঠকে হাজির হতে পারেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি এলিয়ট। ফলে, বৈঠকটিও হয়নি।
প্রমীলার বক্তব্য, ‘‘কোনও ভিন্ন মত, বিরোধী সুর যে মোদী সরকার শুনতে চায় না, এই ঘটনা সেটাই জোরালো ভাবে প্রমাণ করল। জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনার গুরুত্বেই আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। বৈঠকে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা নিয়ে চাপানউতরে না গিয়ে যার প্রয়োজন বেশি, সে দিকেই নজর দেওয়ার দরকার ছিল।’’
জয়শঙ্করের বত্তব্য, ‘‘যাঁদের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে বা খোলাখুলি আলোচনার ইচ্ছা রয়েছে, আমি তাঁদের সঙ্গেই কথা বলতে চাই। কিন্তু যাঁরা আগে থেকেই তাঁদের চিন্তাভাবনাটা তৈরি করে রেখেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি আলোচনায় বসতে চাই না। তাই ওঁর (প্রমীলা) সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হইনি।’’
তবে ‘কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’এর ভারত বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস বলেছেন ‘‘আমাদেরও তো কিছু বলার ছিল। কিছু জানারও ছিল। সেই সুযোগটা কিন্তু হারালাম।’’ ’ ; ! বৈঠক এড়িয়ে যাওয়াটা উচিত হয়নি বলে তাঁর টুইটে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও।
বৈঠক এড়িয়ে যাওয়াটা উচিত হয়নি বলে তাঁর টুইটে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও।
This is totally unworthy of a great democracy like India. I can’t believe @DrSJaishankar with all his diplomatic experience would refuse to engage with a critic; whether you agree with him or not, he is able to debate anybody!This intolerance of dissent is a BJP political failing https://t.co/jkACJH9kJZ
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) December 20, 2019
তবে ‘কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’এর ভারত বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস বলেছেন ‘‘আমাদেরও তো কিছু বলার ছিল। কিছু জানারও ছিল। সেই সুযোগটা কিন্তু হারালাম।’’ ’ ; !
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy