ছবি: পিটিআই।
বর্ধিত ফি পুরোপুরি প্রত্যাহারে এখনও রাজি নন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পড়ুয়ারা সেই দাবিতে অনড়। ফলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ আর অচলাবস্থাই বহাল জেএনইউয়ে। তারই মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির নীচে অশালীন লেখা ঘিরে চাপানউতোরের পরে এ বার মাথাচাড়া দিয়েছে ‘আজাদির স্লোগান’ বিতর্ক।
বাম সংগঠন জেএনইউএসইউ ও সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এবিভিপি— উভয়েরই দাবি, চাপের মুখে ফি যে টুকু কমানোর আশ্বাস কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, তা কার্যত তামাশা। এবং ফি আগের জায়গায় ফিরে না-যাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসার প্রশ্ন নেই।
কিন্তু ফি-এর বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে সংঘাত তীব্র হচ্ছে দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে। যেমন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্বামী বিবেকানন্দের আবরণে ঢাকা মূর্তির নীচে অশালীন কিছু শব্দ লেখা নিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে এবিভিপি। বামপন্থী ইউনিয়নের পাল্টা দাবি, মূল আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতে ওই অপকর্ম গেরুয়া শিবিরেরই।
আরও পড়ুন: দূষণ নিয়ে বৈঠকে নেই, জিলিপি খাচ্ছেন গম্ভীর
বিতর্ক বেঁধেছে ‘আজাদি স্লোগানকে’ কেন্দ্র করেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর উদাহরণ দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজিত শর্মার অভিযোগ, ‘‘ওই ঘটনা ৮-৯ নভেম্বরের। এর আগে ক্যাম্পাসে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’র মতো বিতর্কিত স্লোগানের পরে এ বার ফের আজাদির আওয়াজ তুলেছে বাম ছাত্র সংগঠন।’’ এআইএসএ-র প্রেসিডেন্ট এন সাই বালাজির দাবি, ‘‘ফি বৃদ্ধি, হস্টেল ম্যানুয়াল ইত্যাদি থেকে আজাদি বা স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়েছিল। ইচ্ছে করেই তা বিকৃত ভাবে তুলে ধরেছে গেরুয়া শিবির।’’
এ দিন ক্যাম্পাসে ‘জেএনইউ স্পিক’এর আয়োজন করেছিল জেএনইউএসইউ। যেখানে মূলত আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়ারা বলেছেন, কোন ধরনের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছেন তাঁরা। অনেকে জানিয়েছেন, পরিবারে তাঁরাই প্রথম উচ্চশিক্ষার্থী। ফি বৃদ্ধির বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করতেই এই আয়োজন বলে বাম সংগঠনের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy