নরেন্দ্র মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি পালন ঘিরে করিমগঞ্জে ছড়াল বিতর্ক। বিজেপির মিছিলে সামিল মোটরসাইকেল আরোহীদের মাথায় হেলমেট ছিল না। পাশাপাশি, শহিদ বেদিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন অনেকেই। আর এই নিয়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে করিমগঞ্জের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি পালনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি। জেলার ১০টি মণ্ডলে মোটরবাইক-সাইকেল মিছিল ছাড়াও, স্বচ্ছ ভারত তৈরির সঙ্কল্প নিয়ে জেলাসদরে চালানো হয় সাফাই অভিযান।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক মিশনরঞ্জন দাস, সুদীপ চক্রবর্তী, রবীন্দ্র দেব-সহ প্রায় দলের অনেক কর্মকর্তাই হাজির ছিলেন। সকাল ৯টায় করিমগঞ্জের জেলা সদরে মেজর চমনলালের স্মৃতি সৌধের আশপাশের এলাকা সাফাই করার পাশাপাশি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানোন হয়। কিন্তু জেলা সভাপতি শহিদ বেদির উপর দাঁড়িয়ে হাতে ঝাড়ু নিয়ে বেদির নীচের অংশ পরিষ্কার করেন। সংগঠনের অনেক মহিলা সদস্যই বেদির উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এতেই ছডা়য় বিতর্ক।
শহরের নাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, এতে শহিদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাকবাংলো রোডে মেজর চমনলালের শহিদ বেদির ঘেরাটোপ রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সদস্যরা বেদির উপরে উঠে শহিদকে অসম্মান করেছেন। তা ছাড়া এ দিন বিকেলে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে যে মিছিল শহরে পরিক্রমা করে, ওই আরোহীদের এক জনের মাথায় হেলমেট ছিল না। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত।
তবে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাস এ সব কথা মানতে নারাজ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শহিদ বেদি সাফাই করতেই সকলে সেটির উপরে উঠেছিলেন। কোনও ভাবেই শহিদকে অসম্মান করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy