আদালতের কাছে অভিযুক্তের দাবি ছিল, প্রেমিকার সম্মতিতেই তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে সহবাসের ঘটনাকে 'ধর্ষণ' বলতে নারাজ কর্নাটক হাই কোর্ট। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যুবতীর আর্জি খারিজ করে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দু'এক বার বার নয়, ঠিক পাঁচ বছর ধরে সহবাস হয়েছে। ফলে তাতে দু’পক্ষেরই সম্মতি ছিল। একে কখনই ধর্ষণের সংজ্ঞা দেওয়া যায় না।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা। পরে তাঁদের সম্পর্কও ভেঙে দেন ওই বাসিন্দা। এ নিয়ে শহরের এক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবতী। পরে সেই মামলা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
সোমবার এই মামলার রায়দানের সময় হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের মন্তব্য, ‘‘এক, দুই বা তিন বার নয়। কয়েক দিন বা মাসের কথাও বলা হচ্ছে না। এখানে বছরের পর বছর ধরে, সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে, পাঁচ বছর ধরে এমন (সহবাস) হয়েছে। ফলে বলা যায় না যে, যুবতীর সম্মতি না নিয়ে পাঁচ বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্ক থাকায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা (ধর্ষণ) এবং ৩৭৬ ধারায় (ধর্ষণের শাস্তি) যুক্তিগ্রাহ্য নয়।’’
আদালতের কাছে অভিযুক্তের দাবি ছিল, পাঁচ বছর ধরে প্রেমিকাকে ভালবাসলেও ভিন্ন জাতির হওয়ায় তাঁদের বিয়েতে বাধা দেখা দেয়। তবে প্রেমিকার সম্মতিতেই তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। যদিও যুবতীর পাল্টা দাবি ছিল, বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ধর্ষণেরই সমতুল। কিন্তু যুবতীর দাবি খারিজ করে যুবকের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র নির্যাতন এবং ভয় দেখানোর অভিযোগে মামলায় সায় দিয়েছে হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy