গুজরাতে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
দিন দশেক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সতর্ক করে বলেছিলেন, কংগ্রেস গুজরাত ভোটে রণকৌশল পাল্টে নীরবে প্রচার করছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আজ কংগ্রেস দাবি করল, শুধু দরজায় দরজায় ঘুরে নীরব প্রচার নয়। বুথ স্তরে ভোটের রণকৌশলে নজর দিয়ে গুজরাতে তারা এ বার ১২৫টির বেশি আসন জিতবে।
পাঁচ বছর আগে গুজরাতের বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস সমানে সমানে লড়াই করলেও বিজেপি শেষ পর্যন্ত ১৮২টি আসনের মধ্যে ৯৯টি জিতেছিল। কংগ্রেস ৭৭টি আসন জিতে দৌড় শেষ করেছিল। এ বার ১২৫টির বেশি আসন জেতার দাবি করে আজ এআইসিসি-তে গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা রঘু শর্মা বলেন, ‘‘গুজরাতে বিজেপির হাল ভাল হলে প্রধানমন্ত্রী দিনের পর দিন গিয়ে রাজ্যে পড়ে থাকতেন না। প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেসের রণকৌশল নিয়ে দলকে সতর্ক করতে হয়েছে।’’
রঘু শর্মার দাবি, কংগ্রেস বুথ স্তরের কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে। রাহুল গান্ধী আমদাবাদে গিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বুথ স্তরের কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রামে গ্রামে ছোট সভা করে, দরজায় দরজায় ঘুরে প্রচার চলছে। রঘুর দাবি, আদিবাসী এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ফলে আদিবাসীরা জল-জঙ্গল-জমি হারানোর ভয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তাই ওই সব প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে বলে ‘মিথ্যা দাবি’ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে এই সব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। কোনও রাজ্য সরকার সেই সব প্রকল্প বাতিল করতে পারে না।
গত বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে তফসিলি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত ২৭টি আসনের মধ্যে ১৮টিই কংগ্রেস ও তার শরিকেরা জিতেছিল। কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আরও ১৩টি আসনে আদিবাসী ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা নেয়। মোদী সম্প্রতি গুজরাতে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে অপমান করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
রঘুর দাবি, আদিবাসীরা এ বারও বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁরা কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন বুঝেই মোদী ও অমিত শাহ আদিবাসী এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন।
আম আদমি পার্টির সঙ্গে এ বার আসাদুদ্দিন ওয়েইসির এমআইএম-ও গুজরাতের ভোটে নামছে। ওয়েইসি মুসলিমদের সঙ্গে দলিত ভোটকেও পাখির চোখ করছেন।
গুজরাতের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জগদীশ ঠাকুর বলেন, ‘‘দু’টিই বিজেপির বি-টিম। আম আদমি পার্টির সকলেই মাইনে করা কর্মী। বাস্তবে তাদের কোনও জনসমর্থন নেই।’’
হিমাচলের ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন গুজরাতের ভোট ঘোষণা করেনি। আজ রঘু শর্মা ফের অভিযোগ তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনুষ্ঠান রয়েছে বলেই ভোট ঘোষণা হয়নি। মোদী সরকারি অনুষ্ঠান থেকে প্রচার করছেন। এক-একটি অনুষ্ঠানে ১২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তাঁর দাবি, বিজেপি নিজে গৌরব যাত্রা করতে গিয়েছিল। সাড়া না মেলায় ১০ দিনের যাত্রা ৮ দিনেই শেষ করে দিতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy