ফাইল ছবি
গুজরাত ও হিমাচলেও কংগ্রেস গো-হারা হারবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস সাংগঠনিক স্তরে যে সব রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে অনেকেই প্রশান্ত কিশোরের সুপারিশের ছায়া দেখেছেন। কংগ্রেসের পুনরুত্থানের জন্য গান্ধী পরিবারের সামনে একগুচ্ছ সুপারিশ করলেও কিশোরের ইচ্ছেমতো ক্ষমতা না মেলায় শেষ পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসে যোগ দেননি। শুক্রবার কিশোর টুইট করে বলেছেন, ‘আমার কাছে বার বার উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছে। আমার মতে, স্থিতাবস্থা বজায় রাখা অর্থপূর্ণ কিছু হয়নি। শুধু কংগ্রেস নেতৃত্বকে আরও সময় দেওয়া হয়েছে। অন্তত গুজরাত, হিমাচলের নির্বাচনে হার পর্যন্ত।’
উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের পরেই গুজরাত কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হার্দিক পটেল দল ছেড়েছেন। বছর শেষে ভোটের আগে কংগ্রেস আর এক পাটীদার নেতা নরেশ পটেলকে দলে টানতে চাইলেও এখনও সাফল্য মেলেনি। পাঁচ বছর আগে গুজরাতের ভোটে জিততে না পারলেও হার্দিক পটেল, জিগ্নেশ মেবাণী ও অল্পেশ ঠাকোরের সাহায্যে কংগ্রেস লড়াই করতে পেরেছিল। জিগ্নেশ ছাড়া এখন কেউ কংগ্রেসের পাশে নেই। অল্পেশ আগেই বিজেপিতে গিয়েছেন। হার্দিকও যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার হার্দিকের সমালোচনা করে দলিত নেতা জিগ্নেশ বলেছেন, “ওঁকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছিল। তারকা প্রচারক করা হয়েছিল। তা হলে কাজে কে বাধা দিয়েছিল?” দল ছাড়ার সময় রাহুল গান্ধীকে হার্দিকের খোঁচা নিয়ে জিগ্নেশের বক্তব্য, “হার্দিক মতাদর্শের সঙ্গে আপস করেছেন। অল্পেশ দল ছাড়লেও এ রকম মন্তব্য করেননি। পদত্যাগপত্র দেখে মনে হচ্ছে সেটির খসড়া বিজেপির দফতরে তৈরি করা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy